Election Commission : বিজেপির বিরুদ্ধে ভোটের বিজ্ঞাপনে বিধিভঙ্গের নালিশ নির্বাচন কমিশনে
এই সময় | ০৫ মে ২০২৪
এই সময়: এবার ভোটের বিজ্ঞাপন নিয়ে বঙ্গ রাজনীতিতে বিতর্কের ঝড়। শনিবার বিজেপি’র তরফে রাজ্যের বিভিন্ন সংবাদপত্রে একটি বিজ্ঞাপন প্রকাশিত হয়েছে। যার শিরোনাম, সনাতন বিরোধী তৃণমূল। এই বিজ্ঞাপন নিয়ে আপত্তি তুলেছেন নাগরিক সমাজের একাংশ। এমনকী, কমিশনে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে দেশ বাঁচাও গণ মঞ্চ নামে একটি সংগঠন। তাদের অভিযোগ, লোকসভা ভোটের মাঝে এই ধরনের বিজ্ঞাপন মানুষের মধ্যে বিভাজন তৈরি করবে। রাজ্যে যে ঐক্য ও সম্প্রীতির পরিবেশ রয়েছে, তাও বিনষ্ট করবে। এ জন্য বিজেপি’র বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে তারা।কৌশলগত কারণে ভোটের মাঝে তৃণমূল এখনই এ নিয়ে মুখ খুলতে রাজি না হলেও ভবিষ্যতে তাঁরা কমিশনের দ্বারস্থ হবে বলে জানা গিয়েছে। দলের এক শীর্ষ নেতার কথায়, ‘বিজেপি যেনতেন প্রকারে বাংলায় ভোটের মেরুকরণ ঘটাতে চাইছে। আমরা যদি এ নিয়ে সরব হই তাহলে হইচই হবে। তাতে আখেরে বিজেপিই লাভবান হবে। ওদের পাতা ফাঁদে পা না দেওয়াই ভালো। ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়ায় এরকম কোনও বিজ্ঞাপন ভোটের সময়ে ছাপা যায় না। আমরা এটা দেখে আশ্চর্য হচ্ছি যে, এমন একটা বিজ্ঞাপন ছাপার পরেও কমিশন চুপ করে বসে রয়েছে।’
দেশ বাঁচাও গণ মঞ্চের অন্যতম সদস্য প্রসূন ভৌমিক বলেন, ‘বিজেপি নেতারা খোলাখুলি সাম্প্রদায়িক প্রচার করছেন। এই বিজ্ঞাপনটি তারই অংশবিশেষ। এই ঘৃণ্য রাজনীতির বিরুদ্ধে সবাইকে রুখে দাঁড়াতে হবে। আশা করি, কমিশন একটা সদর্থক পদক্ষেপ নেবে।’
যে বিজ্ঞাপন নিয়ে আপত্তি উঠেছে তাতে সরাসরি তৃণমূলের নাম করে বলা হয়েছে, গত ১৩ বছরে স্বামী বিবেকানন্দ, শ্রী রামকৃষ্ণের এই বাংলায় বারবার সম্মানহানি হয়েছে সনাতন ধর্মের। সেই সঙ্গে অভিযোগ করা হয়েছে, ভোট রাজনীতির কারণে এই বাংলায় পিছিয়ে যায় মা দূর্গার বিসর্জন। বাগদেবীর আরাধনাতেও দেওয়া হয় বাধা। এ রাজ্যে রাম মন্দিরকে বলা হয় অপবিত্র এবং জয় শ্রীরাম ধ্বনিকে গালাগালি তকমা দেওয়া হয়।
বিজ্ঞাপনে আরও দাবি করা হয়েছে যে, চৈতন্য মহাপ্রভুর ভূমিতে শ্রীরামচন্দ্র বহিরাগত বা বিপিএল-র তকমা পান। এই সব অভিযোগকে সামনে রেখে লোকসভা নির্বাচনে সনাতন বিরোধী সরকারের বিদায়ের সূচনা করার জন্য ভোটারদের কাছে আহ্বান জানানো হয়েছে বিজেপির তরফে।
নিয়ম অনুযায়ী, খবরের কাগজে ভোটের বিজ্ঞাপন ছাপার আগে সেটা নির্বাচন কমিশনের মিডিয়া মনিটরিং সেলের দেখার কথা। স্বভাবতই প্রশ্ন উঠছে, কমিশনের চোখ এড়িয়ে কীভাবে এই বিজ্ঞাপন ছাপা হলো। কলকাতার সিইও অফিসের এক আধিকারিকের ব্যাখ্যা, ‘বিজ্ঞাপন নিয়ে যে অভিযোগ দায়ের হয়েছে, তা কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের অফিসে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেখান থেকে যেমন নির্দেশ আসবে সেভাবে পদক্ষেপ করা হবে।’ বিজেপি নেতা শিশির বাজোরিয়া বলেন, ‘বিজ্ঞাপনে আপত্তিকর কিছু নেই। থাকলে কমিশন নিশ্চয়ই জানাবে। যা বাস্তব সেটাই তুলে ধরা হয়েছে।’