• School Fees : ক্লাসরুমে এসি চললে স্কুল ফি-এর সঙ্গে জুড়বে অতিরিক্ত ২ হাজার! কী জানাল হাইকোর্ট?
    এই সময় | ০৫ মে ২০২৪
  • মাত্রাতিরিক্ত গরমেও ছুটি নেই বেশ কিছু সরকারি স্কুলে। নিয়মিত ক্লাস করতে হচ্ছে ছোট থেকে বড় সব বয়সী পড়ুয়াদেরই। তবে নামজাদা একাধিক স্কুলের ক্লাসরুমেই রয়েছে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্র। অভিভাবকদের অভিযোগ, গরমকালে ক্লাসে এসি চালানোর জন্য অতিরিক্ত দু'হাজার টাকা করে চার্জ নিচ্ছে স্কুল কর্তৃপক্ষ।এই মর্মে দিল্লি হাইকোর্টে একটি মামলাও দায়ের হয় সম্প্রতি। যেখানে সরাসরি ডিরেক্টরেট অফ এডুকেশনের কাছে দিল্লির মহারাজা আগরসেন পাবলিক স্কুলের পড়ুয়াদের মা-বাবাদের প্রশ্ন কেন প্রতি মাসে এসি চালানোর জন্য অতিরিক্ত দু'হাজার টাকা স্কুল ফি দিতে হবে।

    দিল্লির মহারাজা আগরসেন পাবলিক স্কুলের নবম শ্রেণির এক পড়ুয়ার অভিভাবকদের তরফে এই মামলাটি দায়ের করা হয়েছে দিল্লি হাইস্কুলে। তাঁদের বক্তব্য, 'প্রতিমাসে স্কুল ফির সঙ্গে ক্লাসরুমে এসি চালানোর খরচ বাবদ দু'হাজার টাকা করে অতিরিক্ত দিতে হচ্ছে।'

    তবে অভিভাবকদের এই মামলা ধোপে টিকল না হাইকোর্টে। মামলাকারী সহ উভয়পক্ষের যুক্তি শোনার পাশাপাশি দিল্লি হাইকোর্ট ২০২৩ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট স্কুলের মাসিক ফি পর্যবেক্ষণ করে। যেখানে স্পষ্টভাবে উল্লেখ পাওয়া যায় এসির খরচ বাবদ ফি নেওয়ার বিষয়টি। একইসঙ্গে ডিরেক্টরেট অফ এডুকেশনের তরফে অনুমোদন পাওয়ার পর সেই ফি বাড়ানো হয়েছে। এদিন হাইকোর্টের পক্ষ থেকে পর্যবেক্ষণে জানানো হয়, সংশ্লিষ্ট স্কুলের প্রতিটি ক্লাসরুমে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত মেশিন চালানো হচ্ছে বলেই প্রাথমিক তদন্তে পাওয়া গিয়েছে। আর সে কারণে স্কুল ফি-এর সঙ্গে যে চার্জ যুক্ত করা হয়েছে তা যথাযথ। হাইকোর্ট আরও জানায়, স্কুলে পড়ুয়াদের এসি পরিষেবা দেওয়া হলে তার খরচ অভিভাবকদেরই বহন করতে হবে, কারণ এই পরিষেবার সঙ্গে ল্যাব কিংবা স্মার্ট ক্লাস পরিষেবাগুলির কোনও অমিল নেই।'

    এই মামলায় দিল্লি হাইকোর্ট আরও জানায়, মা-বাবাদের উচিত সন্তানকে স্কুলে ভর্তি করার সময় স্কুল থেকে পাওয়া পরিষেবা এবং সেই সংক্রান্ত সমস্ত ফি যাচাই করে নেওয়া। এই ধরণের পরিষেবা পড়ুয়াদের দেওয়ার ক্ষেত্রে আর্থিক বোঝা কেবলমাত্র স্কুল কর্তৃপক্ষের একা বহন করা উচিত নয়। বাকি বিষয়টি ডিরেক্টরেট অফ এডুকেশনের উপর ছেড়ে এই মামলা খারিজ করে দেয় দিল্লি হাইকোর্ট। ডিরেক্টরেট অফ এডুকেশনের পক্ষ থেকে বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। একাধিক অভিযোগ তাদের কাছেও জমা পড়েছে বলে জানানো হয়েছে। স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে একটি শোকজ নোটিশ পাঠিয়ে জবাবদিহিও তলব করা হয়েছে।

    মামলাকারীর যদিও আবেদন, পড়ুয়াদের ক্লাসে এসি চালানো হবে কি না, সে সিদ্ধান্ত যখন স্কুল কর্তৃপক্ষই নিয়েছে তখন আর্থিক খরচ তারাই বহন করুক। ১৯৭৩ সালের দিল্লি স্কুল এডুকেশন রুলের অবমাননা করে পড়ুয়াদের থেকে স্কুল ফি-এর সঙ্গে অতিরিক্ত চার্জ নেওয়া হচ্ছে বলেও আদালতে জানিয়েছে মামলাকারী।
  • Link to this news (এই সময়)