• Heatwave In India: পারদ ছুঁয়েছে ৪৫ ডিগ্রি, ২৪ ঘণ্টায় হিটওয়েভের বলি ৫! বৃষ্টি কখন?
    এই সময় | ০৫ মে ২০২৪
  • কর্নাটকে লোকসভা নির্বাচনের তৃতীয় দফার ভোচের আগেই প্রবল তাপপ্রবাহ দেখা দিয়েছে। রাইচুর জেলায় তাপমাত্রা ছাড়িয়েছে ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সেখানে প্রচণ্ড গরমে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। ৪ মে রাইচুরে তাপমাত্রা ৪৫ ডিগ্রিতে পৌঁছয়। মন্দিরে পুজো দিয়ে বাড়ি ফেরার সময় মৃত্যু হয় এক ব্যক্তির।সূত্রের খবর, প্রচণ্ড গরমে গলা শুকিয়ে যাওয়ায় ৪৫ বছর বয়সী হনুমন্ত জল চেয়েছিলেন। তবে পরিবারের সদস্যরা তাঁকে জল দেওয়ার আগেই মাটিতে পড়ে মৃত্যু হয় তাঁর।

    গত ২৪ ঘণ্টায় রায়চুরে এসব মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, ৮ মে পর্যন্ত এই এলাকায় তাপমাত্রা খুব বেশি থাকবে এবং গরম বাতাস বইবে। রায়চুরে ভো হবে আগামী ৭ মে। কর্নাটক বিজেপিও কমিশনের কাছে ভোটের সময় পরিবর্তনের দাবি জানিয়েছে।

    হাঁটাহাঁটি ও ঘুমের সময় মৃত্যু-এর আগে রাইচুরে গরমে চারজনের মৃত্যু হয়েছিল, ৪ মে হনুমন্তের মৃত্যুর পর এই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় পাঁচে। এর আগে, সিন্ধানুর তালুকের মুকুন্দা গ্রাম পঞ্চায়েতে চারজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে রয়েছে বীরেশ হনুমন্তপ্পা মাদিওয়ালা, গঙ্গামা দেবদাসী, প্রদীপ থিমান্না পূজারি এবং দুর্গামা হনুমন্তপ্পা উপার নাম।

    প্রচ্ড গরমে পঞ্চম মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে রাইচুর তালুকের জলিবেঞ্চি গ্রামে।

    সিন্ধানুর তালুকের মুকুন্দা গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত হুদা গ্রামে তাপমাত্রার পারদ ৪৫ ডিগ্রিতে পৌঁছে যাওয়ায় এই মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যুর কারণ প্রচণ্ড গরম এবং জলের অভাব বলে মনে করা হচ্ছে।

    ৫০ বছর বয়সী বীরেশ হনুমন্তপ্পা মাদিওয়াল কাপড় কাচতে গিয়ে পড়ে গিয়েছিলেন। গঙ্গাম্মা দেবদাসীর বয়স ৬০ বছর এবং ১৫ বছরের প্রদীপ থিমান্না পূজারি প্রতিবন্ধী ছিলেন, তিনি ঘুমের মধ্যে মারা যান বলে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে, দুর্গামা হনুমন্তপ্পা পার হিটস্ট্রোকে মত্যু হয়েছে।

    ঘরে থাকার পরামর্শ-রাইচুর ইউনিভার্সিটি অফ এগ্রিকালচারাল সায়েন্সেসের মেটিওরোলজ ইউনিটের অধ্যাপক শান্তাপ্পা দত্তরাগামভির মতে, প্রচণ্ড গরমের কারণে মৃত্যু ঘটছে। তিনি বলেন, ৪ মে তাপমাত্রার পারদ ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছয়। আগামী ৮ মে পর্যন্ত পরিস্থিতি খুবই ভয়ঙ্কর থাকবে।

    তিনি বলেন, কৃষক ও সাধারণ মানুষকে ততক্ষণ ঘরের মধ্যে থাকতে হবে। রাইচুর জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক ডক্টর সুরেশ বাবু বলেছেন যে, সিন্ধানুর এবং রাইচুর তালুকে রেকর্ডকৃত সমস্ত মৃত্যু শুধুমাত্র তাপের কারণে নয়। রোগ সংক্রান্ত কিছু কারণ থাকতে পারে। জলের অভাবে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে বল নিশ্চিত করেছেন সুরেশ বাবু। তিনি বলেন, মেডিক্যাল টিম এসব মামলা খতিয়ে দেখছে।
  • Link to this news (এই সময়)