• সিঙ্গুরের হাসপাতালে 'মেয়াদ উত্তীর্ণ' মেশিনে মহিলাদের USG! অভিযোগ তুলে হইচই লকেটের
    এই সময় | ০৫ মে ২০২৪
  • সিঙ্গুর গ্রামীণ হাসপাতালে পিপিপি মডেলে চলা ল্যাবে মহিলাদের ইউএসজি করানো হচ্ছে পুরনো মেশিনে, লাইসেন্স পুনর্নবীকরণ হয়নি। এবার এমনই অভিযোগ তুললেন লকেট চট্টোপাধ্যায়।রবিবার ভোট প্রচারে গিয়ে হঠাৎ সিঙ্গুর গ্রামীণ হাসপাতালে দলীয় কর্মীদের নিয়ে হাজির হন হুগলির BJP প্রার্থী। তিনি হাতে কাগজ নিয়ে অভিযোগ করেন, যে মেশিনে ইউএসজি করা হচ্ছে গর্ভবতী প্রসূতি মায়েদের তাতে গলদ রয়েছে। তাঁর দাবি, ২০১৭ সালে নাকি মেশিনটির মেয়ার উত্তীর্ণ হয়ে গিয়েছে। ওই মেশিনটি কাজই করে না।

    ল্যাবের যে যায়গায় ইউএসজি হয় সেখানে বসে পড়েন লকেট চট্টোপাধ্যায়। কর্তব্যরত চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য কর্মীদের থেকে জানতে চান কী ভাবে এই মেশিন ব্যবহার করা হচ্ছে। এক চিকিৎসক জানান, মেশিনে দু'একবার রিপোর্টে কিছু গন্ডোগোল হয়েছিল। তাঁরা বিষয়টি বিএমওএইচ মারফত জেলা স্বাস্থ্য দফতরের নজরে আনেন। তবে মহিলাদের উপসর্গ দেখে তাঁদের কিছু সন্দেহ হলে বাইরে থেকে আলট্রাসোনোগ্রাফি করিয়ে নিতে বলা হয়।

    এই প্রসঙ্গে চিকিৎসক অর্পিতা মুখোপাধ্যায় বলেন, 'অনেক সময় রিপোর্টে দেখা যায় রোগী স্বাভাবিক আছে। তারপরেও দেখা যায় তাঁর কিছু সমস্যা হচ্ছে। সেই সময় আমরা সেকেন্ড অপিনিয়নের জন্য বাইরে রেফার করি। মেশিনটা পুরনো বা কাজ করে না বা ২০১৭ সালে মেয়াদ পেরিয়েছে, এই সমস্ত কিছু আমাদের জানা নেই।'

    লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন, 'পুরনো মেশিন দিয়ে চালানো হচ্ছে লাইসেন্স ছাড়াই। নতুন মেশিন কেনা হয়নি। আমরা এই নিয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হব। যাঁরা জেনেশুনেও এতদিন ধরে এসব কাজ করেছেন তাঁদের গ্রেফতারের দাবি জানাব। এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হওয়া দরকার।'

    এই প্রসঙ্গে হুগলি জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক মৃগাঙ্ক মৌলিক অবশ্য এই প্রসঙ্গে স্পষ্ট বলেন, 'মেশিনের এক্সপায়ারি বলে কিছু হয় না। তার লাইসেন্স রিনিউ করতে হয়। সেটা হয়ত করেননি যিনি পিপিপি মডেলে চালাচ্ছিলেন। আজ সিঙ্গুর গ্রামীণ হাসপাতলে বিদায়ী সংসদ গিয়েছিলেন। তিনি বিষয়টি বলেছেন। আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা নেব। পিএনডিটি অ্যাক্ট ১৯৯৪ এর মোতাবেক পিপিপি মডেলে চলে এই হাসপাতালগুলো। এর জন্য প্রশাসনের থেকে প্রতি পাঁচ বছর অন্তর লাইসেন্স নিতে হয়। তা না থাকলে আমরা শোকজ করব। সন্তোষজনক উত্তর না পেলে ব্যবস্থা নেব।'

    অন্যদিকে, বিষয়টি নিয়ে বেচারাম মান্না বলেন, 'লকেট চট্টোপাধ্যায় হুগলির সংসদ হওয়ার পর থেকে মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছেন। ভোটের মুখে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন এই ধরনের মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে।'
  • Link to this news (এই সময়)