এবার শুভেন্দু অধিকারী এবং তমলুক লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় সহ একাধিক বিজেপি নেতৃত্বের নামে দায়ের হল এফআইআর। পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুক থানায় এফআইআর দায়ের করলেন অনশনরত শিক্ষকরা। তমলুকের বিজেপি প্রার্থীর মনোনয়ন দিতে যাওয়ার সময় যে শোভাযাত্রা যাচ্ছিল সেই শোভাযাত্রাকে উদ্দেশ্য করে অনশনরত শিক্ষকদের মঞ্চ থেকে 'চোর' স্লোগান শোনা যায়। তাতেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। পাথর ছোড়া থেকে শুরু করে চেয়ার ভাঙার অভিযোগ ওঠে বিজেপি কর্মী সমর্থকদের বিরুদ্ধে। পাশাপাশি মহিলারা শিক্ষকদের প্রতি জুতো প্রদর্শন করেন বলেও অভিযোগ।'পাথরের আঘাতে আহত ২'পাথরের আঘাতে আহত হয়ে এক শিক্ষক ও এক শিক্ষিকা ইতিমধ্যেই তমলুক হাসপাতালে ভর্তি। শিক্ষকদের দাবি, তাঁদেরকে প্রাণে মারার চেষ্টা করেছিলেন বিজেপি কর্মীরা, আর সম্পূর্ণটাই ঘটে বিরোধী দলনেতার প্ররোচনায়। তাই বিরোধী দলনেতা এবং বিজেপি প্রার্থীর নামে এফআইআর দায়ের করলন তাঁরা।
কড়া শাস্তির দাবিএই বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি মইদুল ইসলাম বলেন, 'তমলুকের হাসপাতল মোড়ে চাকরিহারা শিক্ষকরা অনশনে বসেছেন। শনিবার রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী মদতে তমলুক লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের মনোনয়ন পেশের র্যালিতে উপস্থিত থাকা কর্মীরা অনসনরত শিক্ষকদের উপরে চড়াও হন, মারধর করেন। পাথরের আঘাতে বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত হয়েছেন। যাঁরা যাঁরা এই ঘটনায় জড়িত তাঁদের গ্রেফতারর দাবি জানিয়ে তমলুক থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। আমরা চাই দোষীরা কড়া শাস্তি পাক।'
ঠিক কী ঘটেছিল?প্রসঙ্গত, শনিবার মনোনয়ন জমা দিতে গিয়েছিলেন তমলুকের বিজেপি প্রার্থী। সেই মনোনয়নের পদযাত্রার সময় অনশনরত শিক্ষকদের মঞ্চ থেকে 'চোর চোর' স্লোগান উড়ে গিয়েছিল মিছিলের দিকে। পালটা বিজেপির কর্মী সমর্থকরা তাঁদের অনশন মঞ্চে হামলা চালিয়েছিলেন বলে অভিযোগ অনশনরত শিক্ষকদের।
সেই ঘটনার জেরে দুপুর ১টা থেকে প্রায় আড়াইটে পর্যন্ত, প্রায় দেড় ঘণ্টা উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ওই এলাকা। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপের বিষয়টি সামাল দেওয়া সম্ভব হয়। পরবর্তীতে এই ঘটনায় অনশতরত শিক্ষকরা দাবি করেন, এক শিক্ষক ও এক শিক্ষিকা আহত হয়েছেন। তাঁদের চিকিৎসার জন্য তমলুক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় বলেও দাবি অনশনরত শিক্ষকদের। গোটা ঘটনায় বিজেপির দিকেই আঙুল তুলছেন তাঁরা। এবার সেই ঘটনায় দায়ের হল এই এফআইআর।