ডাক্তারি পরীক্ষা দিতে গিয়ে শৌচালয়ে সাপের কামড়, মেদিনীপুরের ঘটনায় চাঞ্চল্য
এই সময় | ০৫ মে ২০২৪
ডাক্তারির পরীক্ষা দিতে এসে সাপের ছোবল খেলেন এক পরীক্ষার্থী। ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়ালো মেদিনীপুর শহরের রাঙ্গামাটি কিরণময়ী হাইস্কুলে। তড়িঘড়ি তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। কিছুক্ষণ পর অবশ্য বন্ডে সই করে হাসপাতাল থেকে ছুটি নিয়ে বেরিয়ে চলে আসেন ওই পরীক্ষার্থী। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফে কোনওরকম প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।জানা গিয়েছে, গোপীবল্লভপুরের বাসিন্দা পূর্ণচন্দ্র সাউ ও মনোরমা সাউের একমাত্র মেয়ে লিপ্সা সাউ। মেডিক্যালের নিট পরীক্ষা দেওয়ার জন্য এদিন গোপীবল্লভপুর থেকে প্রাইভেট গাড়িতে করে বাবা মাকে সঙ্গে নিয়ে পৌঁছন মেদিনীপুর শহরের রাঙ্গামাটি কিরণময়ী হাইস্কুলে। পরীক্ষা ছিল দুপুর দু'টো থেকে। পরীক্ষা শুরুর আগে শৌচালয়ে যান লিপ্সা। অভিযোগ সেই সময়ই লিপ্সাকে ছোবল মারে সাপে। ছোবল খেয়েই চিৎকার করে ওঠেন লিপ্সা। তড়িঘড়ি শৌচালয় থেকে বেরিয়ে আসেন তিনি।
এরপর কাঁদতে কাঁদতে বাবা মাকে গোটা বিষয়টি জানান লিপ্সা। ওই অবস্থাতেই তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসকেরা তাঁর রক্ত পরীক্ষা করেন এবং রীতিমতো পর্যবেক্ষণে রাখেন। বেশ কিছুক্ষণ পর ব্যক্তিগত বন্ডে হাসপাতাল থেকে ছুটি নিয়ে বেরিয়ে চলে যান ওই পরীক্ষার্থী। ঘটনায় রীতিমতো আতঙ্ক ছড়িয়েছে ওই স্কুলে পরীক্ষা দিতে আসা অন্যান্য পরিক্ষার্থীদের মধ্যেও। পরীক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। তবে এই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফে কোনওরকম প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
অতীতের কিছু ঘটনাপ্রসঙ্গত, গত ফেব্রুয়ারি মাসে সাপের ছোবল খাওয়ার পরেও পরীক্ষা দেয় এক মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। ঘটনাটি ঘটে পূর্ব বর্ধমানের ভাতারের বালসিডাঙা এলাকায়। জানা যায় ভাতার বয়েজ স্কুলের ছাত্র অর্জুন মাঝি, মাধ্যমিকের ইতিহাস পরীক্ষার আগের রাতে খাওয়াদাওয়া সেরে ঘুমিয়ে পড়ে। কিছুক্ষণ পরেই তার বাঁ পায়ে জ্বালা শুরু হয়। পরিবারের সদস্যরা পা দেখে কামড়ের দাগ দেখে বুঝতে পারেন, সাপে কেটেছে তাকে। তড়িঘড়ি সেই ছাত্রকে নিয়ে যাওয়া হয় ভাতার স্টেট জেনারেল হাসপাতালে। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মাধ্যমিক পরীক্ষা দেয় সে।
গতবছরও এই ধরনের একটি ঘটনা ঘটে। উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গার আরিজল্লাপুর হাই মাদ্রাসার ছাত্রী তানিয়া পারভিন পরীক্ষা দিতে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। সেই সময় ঘরের মধ্যে ঢুকে পড়ে একটি বিষধর সাপ। সেই সাপটিই কামড় দেয় তানিয়াকে। পা থেকে রক্ত ঝরতে থাকে তার। সঙ্গে সঙ্গে পরিবারের লোকজন বিশ্বনাথপুর হাসপাতালে নিয়ে যায় তাকে। একটু সুস্থ হওয়ার পর হাসপাতালের বেডে বসেই পরীক্ষা দেয় সে।