নদিয়া জেলার কৃষ্ণনগর আসনটি তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে প্রেস্টিজ ফাইট। কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রের গতবারের জয়ী প্রার্থী মহুয়া মৈত্রকে বহিষ্কার করা হয়েছিল লোকসভা থেকে। তাঁর প্রচারে এদিন বিরোধী বিজেপি প্রার্থী কৃষ্ণনগর রাজবাড়ির সদস্য অমৃতা রায়কে ‘মোদীর হাতের পুতুল’ বলে কটাক্ষ করলেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।রবিবার কৃষ্ণনগরে কৃষ্ণনগরের কালীগঞ্জে তৃণমূল প্রার্থী মহুয়া মৈত্রের হয়ে প্রচারে যান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই বিজেপি প্রার্থী অমৃতা রায়ের বিরুদ্ধে কড়া আক্রমণ শানান অভিষেক। সভা থেকে অভিষেক বলেন, ‘আমাদের সাংসদ লোকসভায় প্রশ্ন তুলেছেন বলে সাংসদ পদ খারিজ করতে হবে। কৃষ্ণনগরের মায়েদের আমি অনুরোধ করব, ১৩ তারিখ আপনি মোদীর পুতুলকে নির্বাচিত করতে চান, নাকি নিজের প্রাণ বিপন্ন করে লড়াই করা মহুয়া মৈত্রকে নির্বাচিত করতে চান?’
এদিনের সভায় আলাদা করে সন্দেশখালির ভাইরাল ভিডিয়ো ক্লিপ দেখানো হয়। গতকাল, শনিবার সন্দেশখালির একটি ভিডিয়ো ক্লিপ নিয়ে হইচই পড়ে যায় গোটা রাজ্যে। সেই ভিডিয়ো (সত্যতা যাচাই করেনি এই সময় ডিজিটাল) দেখা যায়, সন্দেশখালির মণ্ডল সভাপতি গঙ্গাধর কয়াল গোপন ক্যামেরায় জানাচ্ছেন, সন্দেশখালির ঘটনা সাজানো। মহিলাদের সঙ্গে শারীরিক নিগ্রহের ঘটনা আদৌ ঘটেনি।
অভিষেক সেই ভিডিয়ো সভায় দেখিয়ে বলেন, ‘বসিরহাট থেকে বিজেপির প্রার্থী রেখা পাত্রকে ২০০০ টাকা দিয়ে অভিযোগ করানো হয়েছে। যিনি বলছেন, তিনি বিজেপির মণ্ডল সভাপতি। বাংলাকে যাঁরা কলুষিত করেছেন ক’টা ভোটের জন্য, আগামী ১৩ মে এদেরকে জবাব দিতে হবে আপনাদের।’
এখানেই শেষ নয়, বিজেপি প্রার্থী অমৃতা রায়কে কৃষ্ণনগরে সাধারণ মানুষ চেনে না বলেও কটাক্ষ করেন অভিষেক। তিনি বলেন, ‘বিজেপি এখানে যাঁকে প্রার্থী করেছে, কেউ তাঁকে চেনেন না। নিজের পরিচয় দেন রাজমাতা হিসেবে।’ বিজেপি প্রার্থীর উদ্দেশে সভায় উপস্থিত জনসাধারণকে তিনটি প্রশ্ন করার ব্যাপারে আহবান জানান অভিষেক। অভিষেক বলেন, অমৃতাকে আপনারা তিনটি প্রশ্ন করবেন। বিজেপি বলেছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ করে দেবে। তার বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি কেন? জনকে রাজ্যপাল করে পাঠিয়েছেন, সেই পদ কলঙ্কিত করেছেন বর্তমান রাজ্যপাল। মেয়ের বয়সি মেয়েকে শ্লীলতাহানি করেছেন তিনি। এরপর রাজ্য ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছেন। এই নিয়ে তাদের অবস্থান কী? এরপরেই অভিষেক তুলে ধরেন সন্দেশখালির প্রশ্ন। অভিষেক বলেন, ‘সন্দেশখালি নিয়ে অনেকেই গলা ফাটিয়েছিল, কাল সন্দেশখালি দেখেছেন তো? প্রমাণিত হয়েছে, বাংলার মানুষকে কলঙ্কিত করতে গিয়ে, কলুষিত করতে গিয়ে বাংলার মানুষকে ছোট করেছে এঁরা।’