• BJP-তে বড় ভাঙন? তমলুক থেকে পদত্যাগ ৬৭ জনের! মেদিনীপুরের 'তাবড়' নেতা এবার তৃণমূলে
    এই সময় | ০৫ মে ২০২৪
  • নির্বাচনের ২০ দিন আগে মেদিনীপুর বিধানসভা কেন্দ্রে BJP-তে ভাঙন। প্রদীপ পট্টনায়েক, বঙ্কিম মাইতিরা রবিবার যোগদান করলেন তৃণমূলে। জেলা সভাপতি সুজয় হাজরা, রাজ্য সহ সভাপতি জয় প্রকাশ মজুমদার, মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী জুন মালিয়া তাঁদের হাতে তুলে দেন দলের পতাকা।খড়গপুর বিধানসভা নির্বাচনে পাঁচ বার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন প্রদীপ। এছাড়াও অবিভক্ত মেদিনীপুর জেলায় BJP-র প্রতিষ্ঠার সময় থেকেই গেরুয়া শিবিরের সঙ্গে যুক্ত তিনি। একবার মেদিনীপুর লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। ১৯৫৭ সালে জন্ম প্রদীপের, ৭৫ সাল থেকে খড়গপুর কলেজে থাকাকালীন এবিভিপির সঙ্গে যুক্ত হন তিনি।

    এই যোগদান প্রসঙ্গে জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, 'অবিভক্ত মেদিনীপুর জেলার BJP-র প্রতিষ্ঠাতা সদস্য প্রদীপ পট্টনায়েক বিজেপির নীতি ছেড়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরতে এসেছেন। বিজেপির ছাত্র সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিলেন। বিজেপির সংগঠনের কোমর ভেঙে যাবে প্রদীপের যোগদানে। বাংলার বঞ্চনা বাংলার মানুষ মেনে নেবে না।'

    এদিন বঙ্কিম মাইতি কেশিয়ারিতে BJP-র অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, মুক্তিপ্রসাদ মান্না ফুটবলার, সমাজসেবী ইতু গাঙ্গুলি স্কুল শিক্ষিকা, জয়ন্তী নিমাই যোগদান করেন BJP-তে। সুজয় বলেন, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদর্শে হাঁটতেই এই যোগদান।'

    প্রদীপ পট্টনায়েক বলেন, 'যে আদর্শ নিয়ে BJP করেছি তা এখন আর নেই। খড়গপুর কলেজে প্রথম এবিভিপি ছাত্র সংগঠন করেছি। আমি চাইনি আমাকে টিকিট দিন। মেদিনীপুর আসন নিয়ে শুধু পরীক্ষা করেছে ওরা। দিলীপ ঘোষ গত লোকসভা নির্বাচনে লড়েছিলেন এবং জিতেছিলেন। কেন তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হল? ২০১৯ উপ নির্বাচনে বিরোধিতা করেছিলাম। খড়গপুরে শিক্ষিত কাউকে প্রার্থী করতে বলেছিলাম। আমাকে বহিষ্কার করবে বলেছিল। দিলীপ ঘোষ ২০২১ সালে অনুরোধ করেছিলেন বিরোধিতা না করার জন্য।'

    এদিন হিরণকে তীব্র আক্রমণ করেন তিনি। বলেন, 'কোন জঙ্গল থেকে হিরণ আসছে? মেদিনীপুরের যিনি BJP প্রার্থী হয়েছেন তাঁকে চিনি না।' তাঁকে BJP প্রার্থী করলেও তিন এই পদক্ষেপ করতেন? এই প্রসঙ্গে প্রদীপ বলেন, 'এখন তা বলতে পারছি না। তবে নির্বাচনের সময় তৃণমূলের হয়ে কাজ করব।’

    উল্লেখ্য, এই লোকসভা নির্বাচনে দিলীপ ঘোষকে মেদিনীপুর কেন্দ্র থেকে সরিয়ে তাঁর জায়গায় প্রার্থী করা হয়েছে অগ্নিমিত্রা পলকে। তাঁর বিপরীতে তৃণমূলের প্রার্থী জুন মালিয়া। লোকসভা নির্বাচনের আগে এই কর্মীদের দলত্যাগ কার্যত অস্বস্তিতে ফেলেছে গেরুয়া শিবিরের নেতাদের।

    এদিকে এদিন কুণাল ঘোষ এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট করে দাবি করেন, 'তমলুক সাংগঠনিক জেলার প্রায় ৬৭ জন বিজেপির নেতা পদত্যাগ পত্র জমা দিয়েছেন জেলা কমিটির কাছে। চিঠিটি সঠিক হলে তো এটা শুভেন্দুর প্রতি আদি বিজেপির উপহার।'

    কুণালের এই সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট প্রসঙ্গে BJP-র রাজ্য কমিটির সদস্য তপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'তমলুক সাংগঠনিক জেলায় কেউ পদত্যাগ করেনি। তৃণমূল কংগ্রেসের মিথ্যাচার। এই সমস্ত কথা বলে রাজনৈতিক লাভ তুলতে চাইছে। সাময়িকভাবে কয়েকজনের মধ্যে কিছু প্রশ্ন ছিল। বসে আলোচনা করে মিটমাট হয়ে গিয়েছে। তাঁরা সকলেই BJP-র হয়ে কাজ করছে। দেবাংশুকে দেড় লাখ ভোটে হারানোর পরিকল্পনা করেছে।'
  • Link to this news (এই সময়)