'মহিলা দিয়ে ট্র্যাপ করতে পারে তৃণমূল', সতর্কবার্তা সৌমিত্রর
এই সময় | ০৫ মে ২০২৪
'তৃণমূল কংগ্রেস মহিলাদের দিয়ে ট্র্যাপ করতে পারে', তাই ভোটের কাজে বাইরে থেকে আসা আধিকারিকদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিলেন বিষ্ণুপুরের বিজেপি প্রার্থী সৌমিত্র খাঁ। অফিসারদের ফাঁসানোর চেষ্টা হতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করলেন বিষ্ণুপুরের বিজেপি প্রার্থী। এর প্রক্ষিতে পালটা প্রতিক্রিয়া দিয়েছে তৃণমূলও।কী বলেছেন সৌমিত্র খাঁ?রাজ্যপালের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ নিয়ে এক প্রশ্নের প্রেক্ষিতে সৌমিত্র খাঁ বলেন, 'নির্বাচন কমিশনের সমস্ত অফিসার, যাঁরা বাইরে থেকে আসছেন, তাঁদের কাছে আমার অনুরোধ, তৃণমূল কংগ্রেস মহিলা দিয়ে ট্র্যাপ করে, নানারকমভাবে আপনাদের ফাঁসানোর চেষ্টা করবে। জেলায় জেলায় আপনাদের ফাঁসানোর চেষ্টা করবে, এটার থেকে একটু সাবধানে থাকবেন। হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ, ব্যক্তিগতভাবে কোনও মহিলা অফিসারই হোক বা কোনও সুন্দরী মহিলার সঙ্গে না দেখা করাই ভালো।'
পালটা জবাব তৃণমূলেরসৌমিত্রর এই মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী সুজাতা মণ্ডল বলেন, 'তিনি (সৌমিত্র খাঁ) আসলে ভয় পেয়ে গিয়েছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন ওঁর নামের পাশে সাংসদ ট্যাগটা বসেছিল। এবার তিনি ধনে বংশে নির্বংশ হতে চলেছেন। এবার ৪ জুন প্রাক্তন হওয়ার পালা।'
তৃণমূল নেতা শান্তনু সেন বলেন, 'যে নিজের বাড়ির মহিলাকেই ধরে রাখতে পারেননি, তিনি যে দলে আছেন সেই দল সারা দেশজুড়ে মহিলাদের যে ভাবে অপমান করছে, যাদের প্রধানমন্ত্রী স্বাধীনতা দিবসের দিন বিসকিস বানোর ধর্ষকদের রেহাই দেন, যাদের শাসনকালে মণিপুরে মহিলাদের ধর্ষণের পর নগ্ন করে প্যারেড করানো হয়, যাদের শাসনকালে উত্তরপ্রদেশে হাতরাস উন্নাওয়ের মতো গণধর্ষণের ঘটনা ঘটে, তারা যে কতোটা নারী বিদ্বেষী সেটা দেশের মহিলারা জেনে গিয়েছেন।' শান্তনু সেন আরও বলেন, 'সন্দেশখালির মা - বোদের ইজ্জত নিয়ে যে ভাবে তারা নাটক করেছে, তাতে দেশের মানুষের কাছে তাদের নারী বিদ্বেষী আচরণ স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে।'
রাজ্যপালের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগপ্রসঙ্গত, রাজভবনের এক চুক্তিভিত্তিক কর্মীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে। ঘটনায় ইতিমধ্যেই থানায় অভিযোগও দায়ের হয়েছে। সেই ঘটনাকে ঘিরে রাজ্য রাজনীতিতেও ব্যাপক তোলপাড় পড়ে গিয়েছে। ঘটনায় রীতিমতো সরব হয়েছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। পালটা পদক্ষেপ করেছেন রাজ্যপালও। সি ভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে মুখ খোলার জন্য রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের রাজভবনে প্রবেশের উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। চন্দ্রিমা বলেছিলেন, 'যে রাজ্যপাল বলেন পিস রুম খুলবেন, সকলের অভিযোগ শুনবেন, সেই অভিযোগের নিস্পত্তি করবেন, সেই পিস রুম কি নারী সম্মানের পিস হেভেনে পরিণত হয়েছে?' তারপরেই পদক্ষেপ করে রাজভবন। একইসঙ্গে রাজভবনে পুলিশের প্রবেশও নিষিদ্ধ করা হয়েছে।