• ২০১৪-এর টেটেও 'যোগ্য-অযোগ্য' নিয়ে প্রশ্ন, প্যানেল বাতিল নিয়ে বাড়ছে আশঙ্কা
    এই সময় | ০৬ মে ২০২৪
  • ২০১৬ সালের এসএসসি নিয়োগের সম্পূর্ণ তালিকা ইতিমধ্যে বাতিল করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। মামলাটি বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন। এবার ২০১৪ সালের প্রাথমিক টেট পরীক্ষা নিয়েও প্রশ্ন উঠল হাইকোর্টে। OMR শিটের তথ্য খুঁজে পাওয়া না গেলে ২০১৪-র প্যানেল বাতিল করা হতে পারে বলে জানালেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা।কলকাতা হাইকোর্ট এদিন জানায়, ২০১৪-র টেটে ব্যাপক অনিয়ম দেখা যাচ্ছে সিবিআইয়ের প্রাথমিক রিপোর্টে। আদালত প্রশ্ন তোলে, ‘যোগ্য-অযোগ্যদের আলাদা তালিকা কোর্টে পেশ করতে পারবে পর্ষদ? পর্ষদ যোগ্য-অযোগ্যদের আলাদা করতে না পারলে ২০১৪-র টেট গ্রহণের প্রক্রিয়া কীভাবে বৈধ থাকতে পারে? প্রশ্ন তুলেছে আদালত।

    প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের ভূমিকা নিয়ে এবং ওই উত্তরপত্র স্ক্যান করার দায়িত্বে থাকা সংস্থা এস বসুরায় অ্যান্ড কোম্পানির ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে হাইকোর্ট। আদালতের প্রশ্ন, টেট পরীক্ষা নিতে কী নিয়ম তৈরি করা হয়েছিল?‌ কেন টেন্ডার ছাড়া এস বসুরায় অ্যান্ড কোম্পানিকে বরাত দেওয়া হল?‌ সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, এস বসুরায় অ্যান্ড কোম্পানি প্রায় আট হাজার উত্তরপত্রের প্রতিলিপি পর্ষদকে দিয়েছিল। মোট ৭৫২ জন পরীক্ষার্থীর ফলাফল স্থগিত রাখা হয়। পরে অবশ্য উত্তীর্ণ হয়েছে বলে তাঁদের দেখানো হয়। উত্তরপত্র স্ক্যান করা না থাকলে সেটা সম্ভব হতো না.

    'যে অপরাধ করিনি তার শাস্তি পাব?' চাকরি হারিয়ে মন্তব্য স্বর্ণালী-শাওনির

    এই মামলায় ৫৯ হাজার ৫০০ জন প্রার্থীর ভাগ ঝুলছে। এই মামলায় শুধু OMR শিট কারচুপি নয়, তালিকাতেও গরমিল করা হয়েছে বলেও দাবি করা হয়েছে। সেক্ষেত্রে এই পরীক্ষার ক্ষেত্রেও যোগ্য-অযোগ্য প্রার্থীদের তালিকা আলাদা করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। তালিকা আলাদা করতে না পারলে পুরো প্যানেল কোর্ট বাতিল করে দিতে বাধ্য হবে বলে এদিন আদালতে জানানো হয়।

    আদালত সিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছে, OMR শিটের আসল কপি খুঁজে বার করতে হবে। ডিজিট্যাল ফুটপ্রিন্ট কোথায় রয়েছে, সেটাও খুঁজে বার করুক সিবিআই। আগামী মঙ্গলবারের মধ্যে তাঁদের রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে। ফলত, এই টেট মামলার রায় যদি নেতিবাচক হয়, তাহলে সমস্ত নিয়োগের উপর প্রভাব পড়বে। এখন, ওএমআর শিটের সঠিক তথ্য খুঁজে পাওয়া অনেকটাই নির্ভর করছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ এবং সিবিআইয়ের উপর। স্বাভাবিকভাবেই, অস্বস্তির মুখে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। একদিকে, এসএসসি ২০১৬ সালের নিয়োগ বাতিলের কারণে যোগ্য প্রার্থীদের আন্দোলন চলছে। আগামীকাল সুপ্রিমকোর্টে সেই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে। এবার, প্রাথমিক নিয়ে বাড়তে চলেছে দুঃশ্চিন্তা।
  • Link to this news (এই সময়)