তৃতীয়বারের জন্য লন্ডনের মেয়র নির্বাচিত সাদিক খান, কে এই পাক বংশোদ্ভূত?
এই সময় | ০৬ মে ২০২৪
লন্ডনের মেয়র সাদিক খান শনিবার এই পদে পুনঃনির্বাচিত হয়েছেন। মেয়র নির্বাচনে লেবার পার্টির নেতার এটি টানা তৃতীয় বারের জয়। ২০১৬ সালে পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত এই নেতা পশ্চিমের কোনো বড় রাজধানীতে নির্বাচিত প্রথম মুসলিম মেয়র হওয়ার পর ইতিহাস তৈরি করেছিলেন।এটাই সব না, সই সময়ে তাঁর বিজয়ের ব্যবধান মোট ভোটের ৫৭ শতাংশ অর্জন, সেই সময় ব্রিটিশ রাজনীতির ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ব্যক্তিগত ম্যান্ডেট ছিল। তাঁর সাম্প্রতিক জয় নিয়ে ৫৩ বছর বয়সী লন্ডনের সবচয়ে দীর্ঘ মেয়াদী মেয়র হন।
যদিও এবার তাঁর পুনঃনির্বাচন পর্যবেক্ষকদের অবাক করেনি। তবুও এটি লেবার পার্টির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ জয় হিসেবে চিহ্নিত করে। ইউনাইটেড কিংডম ২০২৫ সালের জানুয়ারির পরে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে এবং লেবার ২০১০ সাল থেকে প্রথমবারের মতন জাতীয় পর্যায়ে ক্ষমতা ফিরে পেতে চাইছে।
পাকিস্তানি বাবা-মা, মানবাধিকার আইনজীবী হিসেবে প্রাথমিক কাজ
খান প্রায়ই তাঁর নির্বাচনী প্রচারনায় তাঁরনম্র সূচনার কথা বলেছেন এবং তাঁর গল্পের কাটামো ভোটারদের মধ্যে অনুরনিত হয়েছে বলে মনে করা হয়।
তিনি বলেন, ‘আমার মা এবং বাবা পাকিস্তানে তাদের আত্মীয়দের কাছে টাকা পাঠাতেন। আমার মা এখনও করেন, কারণ আমরা এই দেশে থাকতে পেরে ধন্য।’
সাত ভাইবোনের সাথে তিন বেডরুমের পাবলিক হাউজিং অ্যাপার্টমেন্টে তাঁর শৈশব কেটেছে। খান সেই সম্পর্কেও কথা বলেছেন যে কীভাবে তিনি এবং তাঁর পরিবার প্রায়শই বড় হয়ে জাতিগত নির্যাতনের টার্গেট হয়েছিলেন। তিনি রাষ্ট্রীয় বিদ্য়ালয়ে তাঁর স্কুল শিক্ষা শেষ করেন এবং তারপর উ্তর লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন নিয়ে পড়াশোনা করেন। ১৯৯৪ সালে তিনি একজন মানবাধিকার আইনীবী হিসেবে অনুশীলন শুরু করেন এং পরে সাদিয়া আহমেদকে বিয়ে করেন।
কীভাবে শুরু হয়েছিল রাজনীতি?২০০৫ সাল নাগাদ খান সংসদ সদস্য হিসেবে তাঁর প্রথম নির্বাচনে জয়লাভ করেন। তাঁর ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে যে তিনি তাঁর আইনি ক্রমজীবন ছেড়ে দিয়েছেন কারণ তিনি অনুভব করেছিলেন যে তিনি রাজনীতিতে কাজ করে মানুষের জীবনে একট বড় পরিবর্তন আনতে পারেন। অনেক আগে থেকেই রাজনীতিতে তাঁর আকর্ষণ বাড়ে। পরে ১৫ বছর বয়সে লেবার পার্টিতে তিনি যোগ দেন।
খান দক্ষিণ লন্ডনের টুটিং আসনের এমপি হিসেবে ১১ বছর দায়িত্ব পালন করেন। তিনি পরিবহণ মন্ত্রী হিসেবে মন্ত্রীসভায় যোগদানকারী প্রথম মুসলিম হন। প্রাতমিকভাবে দলের মধ্যে মনে করা হয়েছিল যে মেয়র পদে আরও সিনিয়র নেতাকে বেছে নেওয়া উচিত। খানকে সারপ্রাইজ পিক হিসেবে দেখা গেছে।