Narendra Modi On Muslim : 'ধর্মের ভিত্তিতে দেশভাগ চাইছে কংগ্রেস', ফের মুসলিম ইস্যুতে আক্রমণে মোদী
এই সময় | ০৬ মে ২০২৪
একদিকে যখন রাহুল গান্ধী সংরক্ষণ ইস্যুতে নরেন্দ্র মোদীকে ওপেন চ্যালেঞ্জ করছেন, অন্যদিকে তখন কংগ্রেসের মুসলিপ্রীতি নিয়ে ফের তোপ দাগলেন প্রধানমন্ত্রী। রাহুল গান্ধী যখন দক্ষিণে তেলঙ্গানায়, মোদী তখন উত্তর প্রদেশের নির্বাচনী সভায়। আর সেখান থেকেই তাঁর বিস্ফোরক দাবি, 'কংগ্রেস ধর্মের ভিত্তিতে দেশভাগ করতে চাইছে।'নরেন্দ্র মোদী রবিবার উত্তর প্রদেশের নির্বাচনী জনসভা থেকে বলেন, 'কংগ্রেসের ইস্তেহারে স্বাধীনতা পূর্ববর্তী মুসলিম লিগের ছাপ স্পষ্ট। ৭৫ বছর আগে সংবিধান প্রণেতা বি আর আম্বেদকর এবং খোদ প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু স্পষ্ট বলেছিলেন এ দেশে ধর্মের ভিত্তিতে কোনও সংরক্ষণ হবে না। কিন্তু, আজ কংগ্রেস এবং ইন্ডি জোট চাইছে ধর্মের ভিত্তিতে সংরক্ষণ হোক। ধর্মের ভিত্তিতে ফের একবার দেশভাগ করতে উদ্যত ওরা।'
উত্তর প্রদশেরে ধৌরাহরা থেকে নরেন্দ্র মোদী এদিন বলেন, 'এখন তো মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষরাও বুঝে গিয়েছেন, এই ভোটব্যাঙ্ক রাজনীতিবিদদের থেকে দূরে থাকাই বাঞ্ছনীয়। আর সেই মুসলিম ভোটব্যাঙ্ক বাঁচানোর লক্ষ্যে তোষণের রাজনীতি করে চেলেছে ইন্ডি জোটের দলগুলি।'
কংগ্রেসের পাশাপাশি এদিন উত্তর প্রদেশ থেকে সমাজবাদী পার্টিকেও তীব্র আক্রমণ করেন মোদী। তিনি বলেন, 'সন্ত্রাসবাদীদের মুক্ত করার জন্য অফিসারদের চাপ দেওয়া হত। আর তেমনটা না করলেই সাসপেন্ড করে দেওয়া হত অফিসারদের। ভোটব্যাঙ্ক বাঁচানোর জন্য এমনই তোষণের রাজনীতি হয়েছে। সমাজবাদী পার্টি আর কংগ্রেসের এই রাজপুত্রদের জন্য এখন তোষণের রাজনীতিই সবচেয়ে বড়।' তাঁর সংযোজন, '২০১৪ সালের আগে কংগ্রেস এবং তাদের জোট সরকার কী কী কাজ করেছিল, তা আপনাদের সকলেরই জানা। দেশের কী হাল করেছিল, তা আপনারা নিজেরাই চোখে দেখেছেন। সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধে এজেন্সিগুলিকে কোনও পদক্ষেপ নিতে দেওয়া হত না। সমাজবাদী পার্টির সরকার চলাকালীন এ রাজ্যে জঙ্গিদের স্লিপার সেল কাজ করত। খোলাখুলি সকলকে হুমকি দিত এই জঙ্গিরা। এজেন্সিগুলি অনেক তদন্ত চালিয়ে এই সন্ত্রাসবাদীদের গ্রেফতার করত, কিন্তু, সরকার চাপ দিয়ে তাদের মুক্ত করে দিত।'
অন্যদিকে, তেলঙ্গানার জনসভা থেকে প্রধানমন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে বসেছেন রাহুল গান্ধী। তাঁর দাবি, 'প্রধানমন্ত্রী মোদী ঘোষণা করুন তিনি ৫০ শতাংশ সংরক্ষণ তুলে দেবেন।' পাশাপাশি রাহুল গান্ধী জানান, কংগ্রেসের ইস্তেহারে প্রতিশ্রুতি দেওয়া রয়েছে, ইন্ডিয়া জোট সরকার ক্ষমতায় এলে জাতিগত জনগণনা হবে সর্বপ্রথম। পাশাপাশি দেশে সংরক্ষণ বাড়ানো হবে।