গাজায় দেড় লাখের বেশি অন্তঃসত্ত্বা নারী জলশূন্যতায় ভুগছেন
আজকাল | ০৬ মে ২০২৪
আজকাল ওয়েবডেস্ক: অবরুদ্ধ গাজায় ইজরায়েলি বাহিনীর হত্যা আর ধ্বংসযজ্ঞ যেন থামছেই না। প্রতিদিনই প্যালেস্টাইনি জনগণ হত্যার শিকার হচ্ছে। এ সংঘাত পুরো বিশ্বে উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এরই মধ্যে নতুন খবর সামনে এসেছে।প্যালেস্টাইনে রাষ্ট্রসঙ্ঘের ত্রাণবিষয়ক সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ জানিয়েছে, গাজা উপত্যকায় দিন দিন জলের সংকট তীব্র হচ্ছে। এতে দেড় লাখেরও বেশি অন্তঃসত্ত্বা নারী চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। ইজরায়েলি আগ্রাসনের মুখে গাজায় লাখ লাখ অন্তঃসত্ত্বা বা স্তন্যপান করানো নারী প্রয়োজনীয় পুষ্টি পাচ্ছেন না। তাঁরা স্যানিটেশন সমস্যায়ও ভুগছেন। প্রায় ১ লাখ ৫৫ হাজার নারী খুবই কঠিন সময় পার করছেন। তাদের বেশির ভাগই জলশূন্যতায় ভুগছেন বলে জানানো হয়েছে।ইউএনআরডব্লিউ-এর তথ্যানুযায়ী, গাজায় গত ৭ অক্টোবরের পর থেকে এখন পর্যন্ত ১০ হাজারের বেশি নারীর প্রাণহানি হয়েছে। ১৯ হাজার প্যালেস্টাইনি নারী আহত হয়েছেন। যেসব নারী মারা যাচ্ছেন তাঁদের অনেকেই সন্তানের মা। ফলে গড়ে প্রতিদিন মা হারাচ্ছে অন্তত ৩৭ প্যালেস্টানি শিশু।গত ৭ অক্টোবর ইজরায়েলের সীমান্তে প্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালায় প্যালেস্টাইনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরপরেই গাজায় পালটা অভিযান শুরু করে ইজরায়েল। অভিযানের নামে সেখানে ছয় মাসের বেশি সময় ধরে নিরীহ প্যালেস্টাইনিদের হত্যা করছে ইজরায়েলি বাহিনী। বিশ্ব জুড়েই গাজা সংঘাত বন্ধের জন্য আহ্বান জানানো হচ্ছে। কিন্তু ইজরায়েলের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে ইতিবাচক কোনও পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি। বরং রাফা এবং অন্যান্য শহরে হামলার তীব্রতা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। গাজার হামাস-নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সেখানে প্রায় সাত মাস ধরে চলা সংঘাতে এখনও পর্যন্ত কমপক্ষে ৩৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন। এছাড়া গাজা উপত্যকায় ইজরায়েলি বাহিনীর আগ্রাসনে ৭৭ হাজার ৮৬৭ ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন। হতাহতের শিকার এই বিপুল সংখ্যক মানুষের মধ্যে অধিকাংশই নারী ও শিশু।