সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভোটের মরশুমে সন্দেশখালিকেই (Sandeshkhali) ?অস্ত্র? করে এগোচ্ছিল বিজেপি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি থেকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রত্য়েকের মুখেই ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে উঠে এসেছে সন্দেশখালি প্রসঙ্গ। কিন্তু এবার তা-ই যেন বুমেরাং হয়ে গেল। সন্দেশখালির এক ভিডিও-ই বিজেপির চিন্তা বাড়িয়ে দিল কয়েকগুণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। সেই সঙ্গে বাড়তি চাপ রাজ্যপালের বিরুদ্ধে ওঠা শ্লীলতাহানির অভিযোগ। এই জোড়া ধাক্কা সামলে ভোটের ময়দানে তৃণমূলকে টেক্কা দিতে পারবে কি গেরুয়া শিবির? এটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন।
দ্বীপ অঞ্চল সন্দেশখালি জুড়ে তৃণমূল নেতাদের দাপট। জমি, ভেড়ি দখল থেকে এলাকার মহিলাদের শারীরিক নিগ্রহের অভিযোগকেই চলতি লোকসভা ভোটে তৃণমূলের বিরুদ্ধে অস্ত্র করেছিল বিজেপি। খোদ মোদির মুখে বারবার শোনা গিয়েছিল সন্দেশখালির কথা। ওই গ্রামের প্রতিবাদী রেখা পাত্রকে তাঁরা নির্বাচনে টিকিটও দিয়েছেন। কিন্তু আচমকা একটা ভিডিও যেন তাসের ঘরের মতো বিজেপির সমস্ত পরিকল্পনা ভেস্তে দিল! সন্দেশখালিতে তৃণমূলের অত্যাচার নিয়ে যারা মোটের উপর নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিলেন, স্টিং অপারেশনে প্রকাশ্যে আসা এক ভিডিও তাঁদেরও দুবার ভাবতে বাধ্য করেছে। বিজেপির তরফে বারবার ভিডিওটির সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হলেও, তাতে চিঁড়ে আদৌ ভিজবে কি না, তা বুঝতে পারছেন না বঙ্গ বিজেপির নেতারা। গোপন ক্যামেরায় উঠে আসা এই ভিডিওকে কীভাবে প্রতিহত করবে বঙ্গ বিজেপি, সেটাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ।
সমস্যা তো একটা নয়। গোদের উপর বিষফোঁড়ার মতোই আবার রাজ্যপালের বিরুদ্ধে ওঠা শ্লীলতাহানির অভিযোগ ইস্যু। তৃণমূলের বরাবরের দাবি, রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস, বিজেপি ঘনিষ্ঠ। ফলত তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা শ্লীলতাহানির অভিযোগকেও ভোটের মরশুমে হাতিয়ার করছে শাসকদল। খোদ মুখ্যমন্ত্রী এই ইস্যুতে মুখ খুলেছেন। যা বিজেপির জন্য একেবারেই ইতিবাচক নয়। এক্ষেত্রে গেরুয়া শিবির তাঁদের মতো করে পরিস্থিতি মোকাবিলার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে ওয়াকিবহল মহলের ধারণা, তৃণমূল যেভাবে বিষয়টাকে ভোটের মাঝে ব্যবহার করছে, তাতে খানিকটা বাড়তি সুবিধা তারা পাবে বলেই মত ওয়াকিবহাল মহলের। তবে এই জোড়া ধাক্কা বিজেপি কতটা সামাল দিতে পারল, তা স্পষ্ট হবে ভোটের ফলেই।