• ছাত্রের গোপনাঙ্গে লাঠি ঢুকিয়ে যৌন হেনস্থা, ছিন্নভিন্ন ক্ষুদ্রান্ত্র!
    এই সময় | ০৬ মে ২০২৪
  • নয়াদিল্লি: নির্ভয়া গণধর্ষণে ভয়াবহ নৃশংসতার সাক্ষী থেকেছিল রাজধানী দিল্লি। ধর্ষণের পর তরুণীর গোপনাঙ্গে রড ঢুকিয়ে অন্ত্র টেনে বের করে এনেছিল অভিযুক্তরা! এবার সেই দিল্লিতেই আক্রান্ত ক্লাস এইটের এক ছাত্র। যাকে শারীরিক ও যৌন হেনস্থা করার পর গোপনাঙ্গে লাঠি ঢুকিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল সহপাঠীদের বিরুদ্ধে! সেই লাঠির আঘাতে ছিন্নভিন্ন হলো ক্ষুদ্রান্ত্র। জটিল অস্ত্রোপচারের পর প্রায় এক মাস হাসপাতালে কাটিয়ে অবশেষে বাড়ি ফিরতে পেরেছে ১৪ বছরের ছাত্রটি, কিন্তু কাটেনি ট্রমা। ঘটনায় অভিযুক্ত এক নাবালক ছাত্রকে আটক করেছে পুলিশ।

    নিগৃহীত পড়ুয়ার দাবি, ক্লাস মনিটরের সঙ্গে একটা কথা কাটাকাটির সূত্র ধরে ১৩ মার্চ তাকে মারধর করে এক সিনিয়র দাদা। সেই সময়ে স্কুলে পরীক্ষা চলছিল। ১৮ মার্চ পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর সিনিয়রদের একটি দল ছেলেটিকে ডেকে নিয়ে যায়। খেলার শিক্ষক ডাকছেন বলে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। তার পর স্কুলেরই একটা নির্জন জায়গায় নিয়ে গিয়ে তাকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। জামা-কাপড় ছিঁড়ে চালানো হয় যৌন নির্যাতন। তার পর গোপনাঙ্গে ঢুকিয়ে দেওয়া হয় লাঠি।

    পুলিশ অফিসারের কথায়, ‘কাউকে বললে ফল ভালো হবে না বলে হুমকি দেওয়া হয়েছিল ওই ছাত্রকে, তাই ১৪ বছরের ছেলেটা প্রথমে বাড়িতে কিছু বলেনি। কিন্তু তার পেটে ব্যথা শুরু হয়। সেটা বাড়তে শুরু করায় ১৮ মার্চ নয়ডার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ছাত্রটিকে। জরুরি ভিত্তিতে ২৯ মার্চ ছেলেটির Laparotomy সার্জারি করেন চিকিৎসকরা। তার ক্ষুদ্রান্ত্র প্রায় ছিন্নভিন্ন হয়ে গিয়েছিল। ছেলেটির শরীরের অভ্যন্তরীণ ক্ষত দেখে চিকিৎসকরাই ছাত্রের মাকে জানান, এটা সম্ভবত যৌন হেনস্থার ঘটনা। ২ এপ্রিল ছেলেটির জ্ঞান আসার পর মা প্রশ্ন করতে অবশেষে হেনস্থার ঘটনা জানায় ছাত্রটি।’

    সম্প্রতি হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেছে ছাত্রটি। পুলিশে অভিযোগ দায়েরের পাশাপাশি স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছেও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন নিগৃহীতের মা। ঘটনার সিবিআই তদন্তও দাবি করেছেন তিনি। মহিলার বক্তব্য, ‘আমার ছেলেটার আরও কিছু অঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তিন মাস পরে আবার একটা অপারেশন করাতে হবে। এখনও প্রতি রাতে ভয় পেয়ে চিৎকার করে ওঠে ছেলেটা। ও কবে ঠিক হবে জানি না! আরও কারও সন্তানের সঙ্গে যেন এমন না হয়।’ স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফে অবশ্য কিছুই জানানো হয়নি।
  • Link to this news (এই সময়)