প্রধানমন্ত্রীর মুখেও শোনা যায় 'নির্ভয়া দিদি'! শ্রীরূপার এই নামকরণ কী ভাবে?
এই সময় | ০৬ মে ২০২৪
দক্ষিণ মালদা লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী তিনি। অবশ্য 'নির্ভয়া দিদি' নামেও তিনি পরিচিত। এমনকী প্রধামন্ত্রীর মুখেও এই কথা শোনা যায়। তিনি শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী। কিন্তু কেন তিনি 'নির্ভয়া দিদি'? কী ভাবেই বা এই নামকরণ?২০১২ সালের ১৬ ডিসেম্বর গভীর রাতে রাজধানী দিল্লিতে এক তররুণীকে গণধর্ষণ করা হয়। পরে সেই তরুণীর মৃত্যু হয়। সেই ঘটনা আজও নির্ভয়াকাণ্ড নামে রয়ে গিয়েছে সকলের স্মৃতিতে। পরবর্তীতে নির্ভয়াকাণ্ডের অভিযুক্তদের ফাঁসির দাবিতে উত্তাল হয়ে উঠেছিল রাজধানী দিল্লি সহ গোটা দেশ। সে সময় মহিলাদের স্বশক্তিকরণের জন্য যাঁরা কাজ করেছিলেন তাঁদেরই অন্যতম শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী।
আন্দোলনে ছিলেন শ্রীরূপাএই বিষয়ে শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী নিজে বলেন, 'আমরা সবাই নির্ভয়া আন্দোলনে সামিল হয়েছিলাম। বিশেষ নেতৃত্ব দিয়েছিলাম আমি। ওই আন্দোলনে আমি শিখতে পেরেছিলাম, মানুষকে নির্ভয় লাভ করতে হবে, বিশেষ করে মহিলদের এই শিক্ষা দিতে হবে। তার জন্য দিল্লি থেকে সমস্ত কাজ শেষ করে মালদা এবং মুর্শিদাবাদে প্রায় তিন হাজার গ্রামে বিভিন্ন সময়ে গিয়ে নির্ভয়ের উপরে আমি প্রচার করেছি। মহিলাদেরকে কী ভাবে বিচার দেওয়া যেতে পারে সেই বিষয়ে আমি কাজ করেছি।'
শ্রীরূপা আরও বলেন, 'নির্ভয় গ্রামের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে কী ভাবে আমরা প্রত্যেক গ্রামের মহিলাদেরকে নির্ভীক জীবনযাপন করতে প্রশিক্ষিত করতে পারি। গ্রামের বিভিন্ন প্রান্তে নির্ভয়া দিদি তৈরি হয়েছে। নির্ভয়াকাণ্ডে যে ভাবে ছাত্রীটি মৃত্যুবরণ করেছে, তাঁর যে বেঁচে থাকার চরম ইচ্ছা, সেই ইচ্ছাটা যখন আমরা দেখেছি, তখন হয়েছিল সেই অদম্য ইচ্ছা নিয়েই আমরা কাজ করব। আর তার জন্যই আমরা নির্ভয়া গ্রাম করেছি।' মালদা-মুর্শিদাবাদে প্রচুর প্রচুর নির্ভয় পদযাত্রা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
কী ভাবে হলেন 'নির্ভয়া দিদি'?২০১২ থেকে এখনও পর্যন্ত এই প্রচার চলছে। শ্রীরূপার দেওয়া তথ্যা অনুযায়ী এখনও পর্যন্ত ৩০০০ গ্রাম মহল্লা জন আন্দোলনকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চলছে। নির্ভয়াকাণ্ডের পর সারা ভারতজুড়ে মহিলাদের সুরক্ষা নিয়ে যে জন আন্দোলন সংগঠিত হয়েছিল সেখানে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তিনি। তবে সেই আন্দোলন কোনও রাজনৈতিক নয়, শুধুই সামাজিক বলেই দাবি শ্রীরূপার। ৩০০০ গ্রামে প্রায় ৬৫ হাজার মানুষের কাছে গিয়েছেন শ্রীরূপা। মানুষই একটা সময় তাঁর নাম দেন 'নির্ভয় দিদি', যা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে হয়ে ওঠে 'নির্ভয়া দিদি'। এই প্রসঙ্গে শ্রীরূপা বলেন, 'প্রচারে কাউকে বলি না আমাকে ভোট দিন কারণ। আমাকে সবাই চেনে, আমি কী কাজ করেছি সেই দৃষ্টিকোণ থেকে মানুষ বারবার সমর্থন করেছেন। রাজনীতির থেকেই নির্ভয়া দিদি পরিচিত সকলের কাছে।'