• SSC-র প্যানেল বাতিলে শিক্ষক কমে ৭, ছাত্র ভর্তি বন্ধ করেও বিজ্ঞপ্তি স্থগিত স্কুলের
    এই সময় | ০৬ মে ২০২৪
  • স্কুলে ছাত্র-ছাত্রীদের পড়ানোর জন্য পর্যাপ্ত শিক্ষক নেই। একাধিক শিক্ষকের চাকরি গিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে। শিক্ষকের অভাবে একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির ভর্তি প্রক্রিয়া বন্ধ রাখল বীরভূম জেলার মুরারই জাজিগ্রাম সর্বদোয় আশ্রম হাই স্কুল। যদিও ভর্তি প্রক্রিয়া বন্ধের নোটিশ দেওয়া হলেও ঊর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের গ্রিন সিগন্যাল না আসায় আপাতত সেই নোটিশ স্থগিত রাখা হয়েছে।বীরভূমের মুরারই জাজিগ্রাম সর্বদোয় আশ্রম হাই স্কুলের ক্লাস নেওয়ার জন্য শিক্ষক সংখ্যা এসে দাঁড়িয়েছে ৭ জনে। স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, এই স্কুলে মোট ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা প্রায় ২০০০ জন। একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়ানোর জন্য তিনজন শিক্ষক ছিলেন । তবে তারা বছর দুয়েক আগে বিভিন্ন জায়গায় বদলি হয়ে গিয়েছেন। আর তারপর থেকেই একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণির পাঠদানের জন্য কোনও শিক্ষক নেই।

    পঞ্চম শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণির পর্যন্ত পড়ানোর জন্য এতদিন ছিলেন দশ জন শিক্ষক। এই দশ জনের মধ্যে থেকে দু’জন একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণির ক্লাস নিতেন। কিন্তু এই ১০ জন শিক্ষকের মধ্যে তিনজন শিক্ষকের নাম ছিল ২০১৬ এর প্যানেলে । আর স্বাভাবিকভাবেই এই প্যানেল বাতিল হওয়ার কারণে এখন স্কুলে মোট শিক্ষকের সংখ্যা ৭ জন। যার মধ্যে একজন রয়েছেন খেলার শিক্ষক ও একজন ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক ।

    স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিব্যেন্দু রেজা এই সময় ডিজিটালকে জানান, ‘কার্যত বাধ্য হয়েই আমরা এই বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিলাম। কারণ, একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণিতে পাঠদানের জন্য কোনও শিক্ষক নেই । তবুও গত বছর দুয়েক ধরে আমরা দুই শিক্ষক এবং এলাকার যারা স্বেচ্ছায় পাঠ দান করতে ইচ্ছুক তাদের দিয়েই পঠন পাঠন চালানো হচ্ছিল।’

    'স্বাগত জানাচ্ছি আসুন, সঙ্গে রোল নম্বর আনবেন'

    তাঁর কথায়, বর্তমানে মোট শিক্ষকের সংখ্যা হয়েছে সাতজন। যার মধ্যে খেলার শিক্ষক একজন যার জন্য সেটিও আর সম্ভব হবে না। আর উচ্চমাধ্যমিকের ছাত্র-ছাত্রীদের ভর্তি করে দিলাম আর ভর্তি করে দিলেই যে শুধু কাজটা সম্পূর্ণ হয়ে গেল সেটা তো নয়। তাদেরকে তো ক্লাস করাতে হবে। একাদশ দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াতে গেলে শিক্ষকদের শিক্ষার মান যাচাই করতে হবে তারা আদৌ শিক্ষা দিতে পারবেন কিনা। আর সেই যাচাই করার কাজ তো আমরা করতে পারি না সেটা করবে স্কুল সার্ভিস কমিশন। যেহেতু সেটা সম্ভব হচ্ছে না তাই ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যতের কথা ভেবে কার্যত বাধ্য হয়েই ম্যানেজিং কমিটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে একাদশ শ্রেণিতে আর ভর্তি না করার।

    সেই মর্মেই এই বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছিল। তবে নোটিশটা দেওয়ার পর কিছু সমস্যা দেখা দিয়েছে, যা হল আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ WBCHSE বর্ধমান অফিসকে আমরা বিষয়টি জানিয়েছিলাম। সেখান থেকেই আমাদের বলা হয়, যতক্ষণ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অনুমতি না পাচ্ছি ততক্ষন আপাতত এই নোটিসটি স্থগিত রাখতে। তাই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত মোতাবেক আমরা এই যে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিলাম তা স্থগিত রেখেছি। তবে যেহেতু এর ওপর নির্ভর করছে অনেক ছাত্রছাত্রীর ভবিষ্যৎ তাই খুব শীঘ্রই আমরা উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ মোতাবেক পরবর্তী বিজ্ঞপ্তি জারি করব।
  • Link to this news (এই সময়)