পেরিয়ে গিয়েছে ২৪ ঘণ্টারও বেশি সময়। সন্দেশখালির ‘স্টিং অপারেশন’ নিয়ে তদন্ত কোন পথে, তা স্পষ্ট হল না রবিবার রাত পর্যন্ত। এ নিয়ে সিবিআইয়ের তরফে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। বসিরহাট জেলা পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ওই ভিডিয়ো নিয়ে সন্দেশখালি থানায় কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি।
শনিবার ‘ভাইরাল’ হওয়া ওই ভিডিয়োয় (সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার) দেখা গিয়েছিল, সন্দেশখালির গণধর্ষণের অভিযোগ ‘সাজানো’ বলে মানছেন সেখানকার বিজেপি নেতা গঙ্গাধর কয়াল। পরে গঙ্গাধর দাবি করেন, ভিডিয়োয় ছবি তাঁর হলেও কণ্ঠস্বর বিকৃত করা হয়েছে। তিনি সিবিআইয়ের দ্বারস্থ হবেন। রাতে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছিলেন, গঙ্গাধর সিবিআইয়ের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন। সন্দেশখালি বিধানসভার বিজেপি আহ্বায়ক শুভঙ্কর গিরিও (তাঁর নামও ভিডিয়োয় এসেছে) রবিবার বলেন, “সরাসরি সিবিআইয়ের কাছে এ নিয়ে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তদন্ত হলেই সত্য সামনে আসবে।”
সিবিআই জানিয়েছে, হাই কোর্টের নির্দেশে সন্দেশখালির তদন্ত হচ্ছে। যদি স্টিং ভিডিয়ো সংক্রান্ত কোনও অভিযোগ আসে, তা আদালতে পেশ করা হবে। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে।
নিয়ম অনুযায়ী, প্রাথমিক ভাবে অভিযোগ দায়ের হওয়ার কথা পুলিশের কাছে। কিন্তু তৃণমূলই বা পুলিশের কাছে গেল না কেন?
সন্দেশখালির তৃণমূল বিধায়ক সুকুমার মাহাতো বলেন, “বিষয়টি দলের শীর্ষ নেতৃত্ব দেখবেন।” সিবিআই তদন্ত প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষের খোঁচা, “সিবিআই তো বাঁচাবে! নারদ স্টিংয়ের তদন্তেও তো এমন ঘটেছে। রাজ্য পুলিশ তদন্ত করলে সব তো ফাঁস হয়ে যাবে।” একই সঙ্গে কুণালের দাবি, “যাঁদের নাম আছে, তাঁদের হেফাজতে নিতে হবে। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নিত করাতে এটা করা হয়েছিল।”