• বাংলায় বিজেপির দুই দালাল সিপিএম ও কংগ্রেস: ফিরহাদ
    বর্তমান | ০৬ মে ২০২৪
  • তামিম ইসলাম, ডোমকল: বাংলায় বিজেপির দুই দালাল হল সিপিএম ও কংগ্রেস। ডোমকলে মুর্শিদাবাদ কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী আবু তাহের খানের সমর্থনে জনসভায় সিপিএম-কংগ্রেসকে কার্যত এই ভাষাতেই আক্রমণ করলেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। ডোমকলের জনকল্যাণ মাঠে জনসভায় তৃণমূল প্রার্থীর পাশাপাশি সোনারপুর দক্ষিণের বিধায়ক লাভলি মৈত্র, ডোমকলের বিধায়ক জাফিকুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। ফিরহাদের ওই জনসভা ঘিরে মানুষের উচ্ছ্বাস ছিল চোখে পড়ার মতো।

    এদিন ফিরহাদ সাহেবের বক্তব্যের নিশানায় ছিল বাম-কংগ্রেস জোট। তবে সন্দেশখালির প্রসঙ্গ টেনে একযোগে বিজেপি থেকে বাম-কংগ্রেসকে তুলোধনা করেন। তিনি বলেন, সন্দেশখালি সাজানো ঘটনা। বিজেপি টাকা দিয়ে, মোবাইল দিয়ে শিখিয়ে পড়িয়ে এই কাজ করেছে। সন্দেশখালিতে মা-বোনেদের ইজ্জত নিয়ে ছেলেখেলা করেছে বিজেপি। বাংলার ইজ্জত লুট করেছে বিজেপি। 

    প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতিকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, অধীরবাবু বলতেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমার বিরুদ্ধে লড়াই করুন। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আমার বিরুদ্ধে লড়াই করুন। তার মানে, ওঁর এত ক্ষমতা যে ওঁর বিরুদ্ধে যিনি দাঁড়াবেন, তিনিই হেরে যাবে। আপনি যখন এতই বড় নেতা, তাহলে আপনার এলাকায় কেন একটাও কংগ্রেসের এমএলএ নেই? আসলে ভিতরে ভিতরে বিজেপির সঙ্গে আন্ডারস্ট্যান্ডিং হয়েছিল। উনি কংগ্রেসকে হারিয়ে মুর্শিদাবাদের সব সিট বিজেপিকে দিয়ে দিলেন। আজ আবার এমপি হওয়ার জন্য আরএসএসের সঙ্গে আন্ডারস্ট্যান্ডিং রয়েছে তাঁর।

    অধীরবাবুর সঙ্গে আবু তাহের খানের তুলনা করে ফিরহাদ বলেন, জাফিকুল, আবু করোনার সময় ঘুরে ঘুরে মানুষের পাশে থেকেছে। মমতা মানুষের পাশে থেকেছেন। অধীরবাবু সেই সময় দিল্লিতে সময় কাটাচ্ছিলেন। 

    সিএএ, এনআরসি প্রসঙ্গে বলেন, আপনারা মমতাকে জিতিয়ে এনআরসি আটকেছেন। এখন আবার সিএএ নিয়ে এসেছে। ওরা বলছে, সিএএ মানে পাকিস্তান, বাংলাদেশ, আফগানিস্তানের হিন্দু, শিখ, খ্রিস্টান যদি এদেশে আসে তাহলে তাঁরা ঠাঁই পাবেন। কিন্তু আমরা বলছি, এদেশে আমরা থাকি, তারা সবাই ভারতীয়। যাঁদের ভোটার, আধার কার্ড আছে সবাই আমরা ভারতবাসী। আমাদের ঘুসপেটিয়া বলে অপমান করছেন মোদি। আপনি ভারতীয় হলে আমরাও ভারতীয়। আমাদের ঘুসপেটিয়া বলতে আপনার লজ্জা লাগে না? 

    বাম-কংগ্রেসকে আক্রমণ করে পুরমন্ত্রী বলেন, লজ্জা লাগে অধীর আর সেলিমকে পাশাপাশি দেখতে। ২০০৮ সালে অধীর প্রেস কনফারেন্স করে বলেছিলেন, ২০০৮ সালে ৭১৮ জন কংগ্রেস কর্মীকে খুন করেছে সিপিএম। আর সেই সিপিএমকে সমর্থন করবে কংগ্রেস? ৩৪ বছর ধরে সিপিএম অত্যাচার করেছে। মালদহ জেলায় গনিখান ছিলেন। তিনি একসময় এই সিপিএমকে বঙ্গোপসাগরে ফেলে দেওয়ার হুঙ্কা দিতেন। কংগ্রেস-সিপিএম জোট করায় আজকে তাঁর আত্মা কাঁদছে। আজ সিপিএম-কংগ্রেস এক হয়েছে। মমতা সিপিএমকে বঙ্গোপসাগরে ফেলেছেন। সিপিএম এখন শূন্য।
  • Link to this news (বর্তমান)