নিহত বছর আঠারোর নীতীশ রবি দাস। তাঁর বাবা কলকাতা পুরসভার সাফাইকর্মী। কাঁকুড়গাছির একটি ড্রাই ফ্রুটসের দোকানে কাজ করতেন নীতীশ। ফুলবাগানের কেএমসির কোয়ার্টারের পরিবারের লোকজনের সঙ্গে থাকতেন তিনি। রবিবার রাতে খাওয়াদাওয়ার পর কোয়ার্টারের ছাদে ঘুমোতে যান তিনি। আচমকাই ছাদে আসে আকাশ হরি নামে বছর তিরিশের এক যুবক।
অভিযোগ, ছাদ থেকে নিচে নীতীশের জলের বোতল ফেলে দেয় আকাশ। তা নিয়ে দুজনের বচসা বাঁধে। ক্রমেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতে শুরু করে। অভিযোগ, তর্কাতর্কির মাঝে গাঁজা কাটার ছুরি দিয়ে নীতীশের উপর হামলা চালায় আকাশ। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন নীতীশ। তড়িঘড়ি তাঁকে উদ্ধার করে এনআরএস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে শেষরক্ষা হয়নি। চিকিৎসকেরা জানান, মৃত্যু হয়েছে নীতীশের।
এদিকে, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ফুলবাগান থানার পুলিশ। প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ানের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযুক্ত আকাশকে গ্রেপ্তার করে। উদ্ধার হয়েছে খুনে ব্যবহৃত ধারালো অস্ত্রও। জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত আকাশের বাবাও পুরসভার সাফাইকর্মী। সে কর্মহীন। নীতীশের দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। শুধুমাত্র বোতল ফেলে দেওয়া নিয়ে বচসার জেরে এমন ঘটনা ঘটল নাকি খুনের নেপথ্যে রয়েছে অন্য কোনও কারণ, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আপাতত ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে আসার অপেক্ষায় তদন্তকারীরা।