• Pakistan Ram Mandir: পাকিস্তানেও আছে রাম মন্দির, হিন্দুদের প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ! কেন জানেন?
    এই সময় | ০৬ মে ২০২৪
  • আজ আপনাদের শোনাব অন্য আরেকটি রাম মন্দিরের কথা। যেখানে আজও হিন্দুদের পূজো করতে দেওয়া হয় না। আর এই রাম মন্দিরটি অবস্থিত পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে।ইসলামাবাদের মারগাল্লা পাহাড়ে অবস্থিত এই মন্দিরটিকে রাম মন্দির বা রাম কুন্ড মন্দির বলা হয়। ষোড়শ শতাব্দীতে নির্মিত এই মন্দিরটি হিন্দুবিশ্বাসে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু আজ এখন এই মন্দিরে হিন্দুদেরই পুজো করতে দেওয়া হয় না। শুধু তাই নয়, মন্দিরের ভিতর থেকে ভগবানের মূর্তিও সরিয়ে ফেলা হয়েছে। ঐতিহাসিক এবং ধর্মীয় ঐতিহ্যবাহী এই স্থাপনাটি এখন একটি পর্যটনের আকর্ষণ এবং বিপুল সংখ্যক মানুষকের আকর্ষণের কেন্দ্র হয়ে উঠেছে।

    ইসলামাবাদের কাছে হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত এই মন্দির সম্পর্কে বলা হয় যে, ভগবান শ্রী রামচন্দ্র যখন তাঁর স্ত্রী সীতা এবং ভাই লক্ষ্ণণকে নিয়ে ১৪ বছরের বনবাসে গিয়েছিলেন, সেই সময় তাঁরা কিছুসময় এখানেই কাটিয়েছিলেন। এই বিশ্বাসের উপর ভিত্তি করেই ১৬ শতকে এখানে রাম মন্দিরটি তৈরি করা হয়েছিল। মন্দির সংলগ্ন একটি পুকুর আছে, যার নাম রাম কুন্ড। এই পুকুরটি একটি বিশিষ্ট বিশ্বাসের সাথেও জড়িত যে ভগবন রাম এখানে থাকার সময় এই কুন্ড থেকে জল খেয়েছিলেন।

    লাল ইট দিয়ে তৈরি একতলার এই প্রাচীন মন্দিরের গঠন খুবই সধারণ। মন্দির প্রাঙ্গণের মাঝখানে একটি উঁচু মঞ্চ রয়েছে, এখানেই রাম, সীতা এবং লক্ষণের মূর্তি স্থাপন করা হয়েছিল।

    ১৮৯৩ সালের লিখিত নথি অনুযায়ী, এই মন্দিরকে ঘিরে প্রতিবছর একটি মেলার আয়োজন করা হত। দূর দূরান্ত থেকে হিন্দু ভক্তরা মন্দিরে পুজো দদেওয়ার জন্য আসত এবং রাতে ধর্মশালায় থাকতো।

    কিন্তু ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান গঠনের পর থেকে হিন্দুরা এই মন্দিরে আর পুজো দিতে পারেন না। ১৯৬০ সালে ইসলামাবাদ শহর প্রতিষ্ঠিত হলে ওই বছরই রাম মন্দির কমপ্লেক্সটি একটি বালিকা বিদ্যালয়ে রূপান্তরিত হয়। হিন্দু সম্প্রদায় কয়েক বছর ধরে প্রতিবাদ করেছিল, যার পরে স্কুলটি অন্য জায়গায় চলে যায় এবং মন্দির চত্বরটি অবশেষে ২০০৬ সালে খালি করে দেওয়া হয়। হিন্দুদের এখনও পর্যন্ত সেখানে পুজো করার অনুমতি নেই।

    এই রাম মন্দির আজ রেস্তোরাঁ এবং হস্তশিল্পের দোকানের একটি পর্যটন স্ট্রিপে অন্তরুভুক্ত। মিস্টি জলের পুকুরগুলি যেগুলি একসময় এলাকাটিকে ঘিরে ছিল এখন সেগুলি নোংরা জলে ভর্তি।

    শিখরা মন্দির সংলগ্ন একটি গুরুদ্বারা তৈরি করেছিল, সেখানে এখনো গুরু নানকের শিক্ষা ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য একটি স্কুল হিসেবে কাজ করে। হিন্দুরা এখনও পূজোর অধিকার ফিরে পেতে আলোচনা এবং আন্দোলন চালাচ্ছেন।
  • Link to this news (এই সময়)