Jharkhand ED Raid : মন্ত্রীর আপ্তসহায়কের পরিচারকের বাড়িতে টাকার পাহাড়! এখনও পর্যন্ত উদ্ধার কত কোটি? দেখুন ভিডিয়ো
এই সময় | ০৬ মে ২০২৪
লোকসভা ভোটের মুখে রাঁচিতে মন্ত্রীর আপ্তসহায়কের পরিচারকের বাড়ি থেকে কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা উদ্ধার। ঘটনা ঘিরে হইচই পড়ে গিয়েছে দেশে। ED সূত্রে জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত মোট ২৫ কোটি টাকা নগদ উদ্ধার হয়েছে। এই অঙ্ক আরও বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। চলছে টাকা গোনার কাজ।ঝাড়খণ্ডের গ্রামোন্নয়ন দফতরের প্রাক্তন মুখ্য ইঞ্জিনিয়ার বীরেন্দ্র রামের বিরুদ্ধে আর্থিক তছরুপের একাধিক অভিযোগ রয়েছে। সেই মামলাতেই এবার রাঁচির অর্ধেকের বেশি অংশে তল্লাশি অভিযান চালিয়েছে ED। ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসি ED-র হাতে গ্রেফতার হন বীরেন্দ্র রাম।
ইতিমধ্যেই গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রীর আপ্তসহায়কের পরিচারকের বাড়ির এই পাহাড় প্রমাণ টাকার ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। মন্ত্রী আলমগীর আলমের আপ্তসহায়ক সঞ্জীব লালের পরিচারকের বাড়িতে টাকা গোনার কাজ চলছে। ৭০ বছরের আলমগীর আলম কংগ্রেস নেতা এবং পাকুর বিধানসভা আসনের বিধায়ক।
এ প্রসঙ্গে ঝাড়খণ্ডের BJP মুখপাত্র প্রতুল সহদেব বলেন, 'ঝাড়খণ্ডে দুর্নীতি যেন থামছেই না। লোকসভার মাঝে এই বিপুল পরিমাণ টাকা উদ্ধার ইঙ্গিত করছে টাকা দিয়ে ভোট কেনার চেষ্টা চলছিল। নির্বাচন কমিশনের উচিত এই মর্মে উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করা।'
কেন্দ্রীয় এজেন্সি মোট ৯টি জায়গাতে তল্লাশি চালিয়েছে। রাঁচির সেল সিটিতেও হানা দিয়েছে ED। সোমবার সকালে একটি টিম সেল সিটিতে অবস্থিত সড়ক নির্মাণ দফতরের ইঞ্জিনিয়ার বিকাশ কুমার সন্ধানে পৌঁছয়। আরও একটি ED দল হানা দেয় বারিয়াতু, মোরহাবাদি এবং বোদিয়াতে। গোপন সূত্রে খবর আগেই মিলেছিল। এরপর সোমবার সকালে ED হানা দেয় ঝাড়খণ্ডের গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী আলমগীর আলমের ব্যক্তিগত সচিব সঞ্জীব লালের পরিচারকের বাড়িতে। টাকার পাহাড় বেরোতে পারে বলে আগে থেকেই অনুমান করেছিলেন কেন্দ্রীয় এজেন্সির আধিকারিকরা। সেখানে হানা দিয়ে তল্লাশি চালাতেই চক্ষু চড়কগাছ হয় ED আধিকারিকদের। সঞ্জীব লালের পরিচারকের বাড়ি থেকে কাঁড়ি কাঁড়ি নোটের হদিশ মেলে।
লোকসভা ভোটের আগে গ্রেফতার হয়েছিলেন ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। তাঁর বিরুদ্ধেও আর্থিক তছরুপের অভিযোগ রয়েছে। এদিকে, গ্রেফতারির মুহূর্তে তিনি মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেন। একাধিকবার জামিনের আবেদন করলেও তা খারিজ করে দিয়েছে আদালত। এর মাঝেই আরও এক দুর্নীতি মামলায় কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা উদ্ধার নতুন করে হইচই ফেলে দিয়েছে।