দার্জিলিং বা কালিম্পঙ হলে ভাড়া দাঁড়চ্ছে ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা। গ্যাংটক হলে সেই ভাড়া আরও বেশি। গাড়ি ভাড়া শুনেই শীতলতার খোঁজে গিয়েও ঘাম ঝরাতে হচ্ছে পর্যটকদের। একদিকে, মরশুমে পর্যটকদের থিকথিকে ভিড়, আরেকদিকে ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক বন্ধ থাকায় গাড়ি ভাড়া নিয়ে নাজেহাল দার্জিলিঙের পর্যটকরা।সোমবার সকাল থেকে ৭২ ঘণ্টার জন্য বন্ধ হয়েছে কালিম্পং-সিকিমগামী ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। রাস্তা সংস্কারের কারণে ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের একাংশ বন্ধ রাখা হয়েছে। রবিঝোড়া থেকে ২৯ মাইল পর্যন্ত যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সেই কারণেই দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে দার্জিলিঙগামীপর্যটকদের। রাস্তা বন্ধ থাকার সুযোগকে কাজে লাগাচ্ছেন গাড়ি চালকরা।
রাস্তা মেরামতির কারণে, ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের একটা অংশ বন্ধ রাখা হয়েছে। গাড়িগুলি চলাচল করবে গরুবাথান-আলগাড়া হয়ে। গাড়ি ঘুরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রায় দ্বিগুণ ভাড়া চেয়ে বসছেন চালকরা। একেকটি গাড়ি চার-পাঁচ হাজার টাকা চেয়ে বসছেন চালকরা। অনেক সময় সেই ভাড়াও চাপিয়ে যাচ্ছে। যে কারণে বেশি ভাড়া দিয়েই পাহাড়ে উঠতে হচ্ছে পর্যটকদের।
দার্জিলিঙের পথে লেপার্ড দর্শন!
এপ্রিল-মে মাস নাগাদ দার্জিলিঙে পর্যটকদের সংখ্যা সর্বাধিক থাকে। প্রায় ৭৫ থেকে ৮০ শতাংশ হোটেল বুকিং। ঠাসা ভিড় দার্জিলিং ও নিকটবর্তী ভ্রমণস্থানগুলিতে। তার মধ্যে গাড়ি ভাড়া নিয়ে দ্বিগুণ সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে পর্যকটকদের। দার্জিলিংগামী এক পর্যকট বলেন, ‘আমরা যে বাজেট ধরে এসেছিলাম, সেটা ছাপিয়ে যাচ্ছে। রাস্তা বন্ধ থাকবে জানতাম না। এখন গাড়ির যা ভাড়া চাইছে, সেটা দিয়ে যেতে গেলে আমাদের বাজেটের উপর অনেকটাই চাপ পড়বে। তাও বাধ্য হয়ে যেতে হচ্ছে। শিলিগুড়ি থেকে দার্জিলিংগামী এক গায়ের চালকের কথায়, ‘আমাদের অন্য সময়ের একটু বেশি ভাড়া নিতেই হচ্ছে। গাড়ি গরুবাথান হয়ে ঘুরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কারণে, আমাদেরও খরচ বাড়ছে। সেই কারণে বাড়তি ভাড়া না নিয়ে কোনও উপায় নেই।’
আগামী ৭২ ঘণ্টা ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের একাংশ বন্ধ রাখা হবে। ফলত, এই সমস্যা আরও দুদিন ভুগতে হবে বলে আশঙ্কা পর্যটকদের। দার্জিলিং ঘুরতে যাওয়া পর্যটকদের পাহাড়ে ওঠা এবং নামা উভয়দিকেই ভাড়া অনেকটা বেশিই গুনতে হচ্ছে। জাতীয় সড়ক চালু হয়ে গেলে ভাড়া পুনরায় কমে আসবে বলেই জানাচ্ছেন চালকরা। তবে, এই কদিনের জন্য বাড়তি টাকা ভাড়া নেওয়ায় যথেষ্ট ক্ষুব্ধ পর্যটকরা।