'এখানে ৫১ কোটি উদ্ধার হয়েছে, কোথা থেকে এল?' রাজ্যে এসে প্রশ্ন শাহের
এই সময় | ০৬ মে ২০২৪
পাখির চোখ কৃষ্ণনগর। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর নির্বাচনী প্রচার শুরু করেছিলেন কৃষ্ণনগর কেন্দ্র থেকে। 'মহুয়াকে জেতাতে হবে', এই ডাক শোনা গিয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কণ্ঠে। এরপর দিন গড়িয়েছে। বারবার শিরোনামে উঠে আসছে কৃষ্ণনগর কেন্দ্র।কৃষ্ণনগর রাজবাড়ির সদস্য অমৃতা রায়ের সমর্থনে সোমবার রোড শো করলেন অমিত শাহ। এদিন দুর্নীতি ইস্যুতে রাজ্যকে বিঁধলেন তিনি। অমিত শাহ বলেন, ‘দুর্নীতি খুব বড় ইস্যু। এখান থেকে ৫১ কোটি উদ্ধার হয়েছে। এত টাকা কোথা থেকে এল? এটা বাংলার মানুষের পয়সা।’ পাশাপাশি বাংলার ভোট ফলাফল নিয়ে প্রত্যয়ের সুর শোনা গেল তাঁর কণ্ঠে।
অমিত শাহ বলেন, ‘৩০-এর বেশি আসনে আমরা জয়ী হব। ৩৫টি আসনে জয়ী হওয়ারও সম্ভাবনা রয়েছে।’ লোকসভা নির্বাচনে বঙ্গ BJP-র জন্য ‘টার্গেট’ বেঁধে দিয়েছিলেন অমিত শাহ। ৩৫ আসনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে গেরুয়া শিবির, প্রাথমিকভাবে উঠে এসেছিল এমনই তথ্য। অমিত শাহ রাজ্যে এসে ৩০ আসন নিয়ে প্রত্যয় প্রকাশ করেছিলেন। এবার ৩৫ আসন নিয়ে আশার কথা শোনা গেল তাঁর কণ্ঠে।
উল্লেখ্য, এদিন শেখ শাহজাহানের নামও শোনা যায় অমিত শাহের কণ্ঠে। তিনি বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট করুন যে তিনি কি শেখ শাহজাহানকে নির্দোষ মনে করেন?’ রাজনৈতিক মহলের একাংশের কথায়, ‘কৃষ্ণনগর কেন্দ্র এবার পাখির চোখ সমস্ত রাজনৈতিক দলের জন্যই।’ তাঁদের কথায়, ‘নিজ গুণে মহুয়া মৈত্র তৃণমূল সুপ্রিমোর স্নেহধন্যা। সংসদ থেকে তাঁর বহিষ্কার নিয়ে দলীয় অবস্থান জনসমক্ষে স্পষ্ট করেছে তৃণমূল। পাশাপাশি এই প্রেক্ষাপটে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্র থেকে ফের একবার মহুয়া মৈত্রকে প্রার্থী করাও প্রতিপক্ষের জন্য বড় বার্তা।’
অন্যদিকে, রাজপরিবারের সদস্য অমৃতা রায় রাজনীতির ময়দানে আনকোরা। কিন্তু, তাঁর ‘রানিমা’ পরিচিতি BJP-র জন্য অন্যতম বড় ফ্যাক্টর হতে পারে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ। যদিও মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্রের সঙ্গে ব্রিটিশদের সখ্যতা প্রসঙ্গ টেনে সরব হয়েছিল তৃণমূলের একাংশ।
সবমিলিয়ে কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্র যে দুই রাজনৈতিক দলের জন্যই অত্য়ন্ত গুরুত্বপূর্ণ, মনে করা হচ্ছে এমনটাই। স্বাভাবিকভাবেই এই লোকসভা কেন্দ্রের ফলাফল কোন দিকে যায়, সব নজর সেই দিকেই। উল্লেখ্য, ১৩ মে চতুর্থ দফায় কৃৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। মহুয়া মৈত্র বনাম অমৃতা রায়- এই রাজনৈতিক ফাইটের দিকে এখন সব নজর।