রাত পোহালেই তৃতীয় দফার লোকসভা নির্বাচন। আর তার আগেই ভোটের ডিউটি করতে আসা এক পুলিশ কর্মীর অস্বাভাবিক মৃত্যু। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মালদা জেলার বৈষ্ণবনগর থানা এলাকায়। মৃত পুলিশ কর্মীর নাম নবীন মুক্তান। ময়নাতদন্তের জন্য মৃতদেহ পাঠান হয়েছে মালদা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে মর্গে।দার্জিলিং থেকে ভোটের ডিউটিতে এসে মৃত্যুস্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে নবীন মুক্তান নামে ওই পুলিশ কর্মীর বয়স আনুমানিক ৪৩ বছর। বাড়ি দার্জিলিং জেলার ২২ নম্বর ওয়ার্ডের লামা রোড। সেখান থেকে মালদার বৈষ্ণবনগর থানা এলাকায় ভোটের ডিউটি করতে এসেছিলেন তিনি। হঠাৎই রবিবার রাতে অসুস্থ হয়ে পড়েন ওই পুলিশ কর্মী। তড়িঘড়ি উদ্ধার করে স্থানীয় বেদরাবাদ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। তবে অবস্থার আরও অবনতি হওয়ার মালদা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় নবীনকে। সেখানেই জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন তাঁকে। গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
কোচবিহারে এক জওয়ানের মৃত্যু হয়এর আগে কোচবিহারে ভোট শুরুর আগেই এক জওয়ানের মৃত্যু ঘটে। প্রথম দফার নির্বাচন শুরুর আগেই মৃত্যু হয় কেন্দ্রীয় বাহিনীর ওই জওয়ানের। মৃত ওই জওয়ানের নাম নীলেশ কুমার নীলু। ঘটনার জেরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই ওই জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে জানা যায়।
কোচবিহারের মাথাভাঙার বেলতলা এলাকায় একটি স্কুলে ভোটের ডিউটিতে যোগ দিয়েছিলেন নীলেশ কুমার নীলু। ভোটের ডিউটিতে যোগ দেওয়ার জন্য বিহার থেকে বাংলায় আসেন তিনি। তবে ভোটের আগের রাতে নীলেশের সহকর্মীরা তাঁকে অসুস্থ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। তড়িঘড়ি মাথাভাঙা মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।
মঙ্গলবার নির্বাচন মালদায়প্রসঙ্গত, আগামীকাল নির্বাচন হতে চলেছে রাজ্যের ৪ কেন্দ্রে। তার মধ্যে রয়েছে মালদা উত্তর ও মালদা দক্ষিণ লোকসভা কেন্দ্রেও। মালদা উত্তরে তৃণমূলের হয়ে লড়ছেন প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপি ওই কেন্দ্রে ফের একবার টিকিট দিয়েছে খগেন মুর্মুকে। আর কংগ্রেসের হয়ে লড়ছেন মুস্তাক আলম। অন্যদিকে মালদা দক্ষিণে তৃণমূলের হয়ে লড়ছেন শাহনওয়াজ আলি রেহান। বিজেপির তরবে এবার মুখ করা হয়েছে শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরীকে। আর কংগ্রেসের হয়ে লড়ছেন ঈশা খান চৌধুরী। নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করতে সমস্তরকমের ব্যবস্থাপনা রাখছে নির্বাচন কমিশন।