নর্মাল ডেলিভারিতে একসঙ্গে ৫ সন্তানের জন্ম, প্রসূতিকে দেখতে হাসপাতালে ভিড়!
এই সময় | ০৬ মে ২০২৪
এক বা দুই নয়, একসঙ্গে পাঁচ পাঁচটি সন্তানের জন্ম দিলেন এক প্রসূতি। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুরের একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে। জানা গিয়েছে, বিহারের ঠাকুরগঞ্জের বাসিন্দা তাহিরা বেগম নামে এক প্রসূতি রবিবার প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে ওই বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি হয়েছিলেন। ভোরে একসঙ্গে পাঁচটি কন্যা সন্তানের জন্ম দেন ওই মহিলা। সদ্য জাত এবং মা সকলেই সুস্থ রয়েছেন বলে জানান চিকিৎসক ফারজানা।এক সঙ্গে পাঁচ কন্যা সন্তান পেয়ে খুশি তাহিরার পরিবার। চিকিৎসক ফারজানা জানিয়েছেন, গর্ভবতী অবস্থায় ইউএসজি করেই তিনি বুঝতে পেরেছিলেন তাহিরা বেগমের গর্ভে পাঁচটি সন্তান রয়েছে। প্রসূতি তাহিরা বেগম একথা জানতে পেরে কিছুটা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন। গর্ভবতী অবস্থায় তাহিরা তাঁর কাছে নিয়মিত চিকিৎসা করাতেন।
রবিবার ভোরে তাহিরা প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে নার্সিংহোমে ভর্তি হন। পাঁচ কন্যা সন্তানের নর্মাল ডেলিভারি হয়। সদ্যজাত পাঁচ কন্যা সন্তান এবং মা সকলেই সুস্থ রয়েছে। এদিকে একসঙ্গে পাঁচ সন্তান হওয়ায় এই প্রসঙ্গে প্রসূতি তাহিরা বেগম বলেন, 'খুব খুশি আমি। পাঁচটা সন্তান হয়েছে।' অন্যদিকে, তাঁর চিকিৎসক বলেন, 'আগে থেকেই বুঝতে পারি আলট্রাসাউন্ড করে যে ওঁর গর্ভে পাঁচ সন্তান রয়েছে। প্রথমে প্রসূতি খুবই ভয় পেয়েছিলেন। তারপর আমি ওকে বোঝায় যে সমস্যার কোনও কারণ নেই। নর্মাল ডেলিভারি হয়েছে। পাঁচজন শিশুই ভালো রয়েছে।'
চিকিৎসক আরও বলেন, ‘মা এবং শিশু সকলেই ভালো রয়েছে। এটাই আসল চ্যালেঞ্জ ছিল।’ অন্যদিকে, ওই প্রসূতির শ্বশুর বলেন, ‘আমার বউমা পাঁচ সন্তানের জন্ম দিয়েছে। আমি অত্যন্ত খুশি। শনিবার পাঁচটায় হয়েছে পাঁচ নাতনি। সকলেই ভালো আছে।’ অনেকেই তাঁকে দেখতে ছুটে আসেন হাসপাতালে।
যদিও একসঙ্গে পাঁচজন সন্তান হওয়ায় কিছুটা চিন্তায় সদ্যজাতদের মা। তিনি বলেন, ‘অবশ্যই পাঁচটি শিশুকে বড় করতে হবে, তাঁদের দেখভাল করতে হবে, এটা একটা চিন্তার কারণ বৈকি। সকলকে সমানভাবে দেখভাল করতে হবে, সেটা একটা বড় দায়িত্ব আমার কাছে।’
তবে মেয়ে হওয়ার জন্য কোনও দুঃখ নেই। এখন সকলকেই মানুষের মতো মানুষ করাই তাঁর লক্ষ্য বলে জানান। ওই প্রসূতির পরিবার জানান, তাঁরা সকলেই অত্যন্ত খুশি। শিশুগুলি কবে বাড়িতে আসবে, সেই দিকে তারা তাকিয়ে রয়েছে। শিশু এবং মায়েদের স্বাগত জানানোর জন্য প্রস্তুত তারা, এমনটাও জানাচ্ছেন ওই পরিবারের সদস্যরা।