‘পরজীবীকে কেউ ভোট দেন না’, কবীরকে আক্রমণ কল্যাণের, পালটা বিজেপি প্রার্থী
এই সময় | ০৬ মে ২০২৪
হুগলি জেলার শ্রীরামপুরের বিজেপি প্রার্থীকে কড়া আক্রমণ তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের। উল্লেখ্য, বিজেপি প্রার্থী কবীর শঙ্কর বসু সম্পর্কে কল্যাণের প্রাক্তন জামাই। সেই পরিচয় নিয়ে কবীর ভোট ময়দানে টিকে রয়েছে বলে দাবি কল্যাণের। পালটা কটাক্ষ বিজেপি প্রার্থীর। ভোটের ময়দানে সরগরম শ্রীরামপুর।আগামী ২০ মে হুগলি জেলার শ্রীরামপুর কেন্দ্রে। তাঁর আগে তৃণমূল - বিজেপি প্রার্থীর বাদানুবাদ চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছল। নিজের কোনও পরিচয় নেই, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রাক্তন শ্বশুর এই তার পরিচয়। একজন পরজীবীকে কেউ ভোট দেয় না। নাম না করে বিজেপি প্রার্থী কবির শংকর বোসকে আক্রমণ কল্যাণের।
সোমবার শ্রীরামপুরের পিয়ারাপুরে সভা করেন শ্রীরামপুরের তৃণমূল প্রার্থী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে তিনি বলেন, ‘আর যে এখানে এসে দাঁড়িয়েছে তার শ্রীরামপুরে কী আছে? কীসের জন্য শ্রীরামপুর? কেন বারবার শ্রীরামপুর? শ্রীরামপুরের রাজনৈতিক আন্দোলনের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ আছে? নেই। সামাজিক কোনো কাজকর্মের সঙ্গে আছে? মানুষের জন্য কাজকর্মের কিছু আছে? শ্রীরামপুর যার হাত ধরে এসেছিল তার নাম হচ্ছে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
প্রসঙ্গত, কবীর শঙ্কর বসু পেশায় একজন আইনজীবী। সেই বিষয়টি নিয়েও কটাক্ষ করেন কল্যাণ। তিনি জানান, লেখা আছে ব্যারিস্টার, কী মামলা করেছে কেউ কিছু জানে না। গত তিন চার বছরে কী মামলা করেছে জিজ্ঞাসা করুন। একটা মামলার নামও বলতে পারবে না। শ্রীরামপুরে তার কি আছে?
Kalyan Banerjee : জনতা থেকে ঈশ্বরের দরবারে কল্যাণ
কল্যাণ আরও বলেন, ‘এই পরিচয় ভোটে লড়তে হচ্ছে। এই পরিচয় কখনও হয়, একটা পরজীবী মানুষ কখনও ভোট চাইতে পারে।একটা পুরুষ মানুষ ঘুরে বেড়াচ্ছে কি পরিচয় নিয়ে না। তার প্রাক্তন শ্বশুরের নাম কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, এটাই তার পরিচয়। এটাই যদি পরিচয় হয় তাহলে সে কি মানুষের কাছে ভোট পেতে পারে?
অন্যদিকে, কবীর শঙ্কর বসু বলেন, ‘তৃণমূল হচ্ছে একটি সন্ত্রাসবাদী দল। তারা এবার গোটা বাংলা জুড়ে হারছে। কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায় পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে, তাঁরা এবার হারতে চলেছে। প্রশাসনের দায়িত্বে এখন আছে নির্বাচন কমিশন। তারা পুরোপুরি আইন শৃঙ্খলা বজায় রেখে কাজ করবে।’ প্রসঙ্গত, এই কেন্দ্র থেকে ২০০৯ সাল থেকে জিতে আসছেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। গতবারের বিজেপি প্রার্থীকে প্রায় এক লাখ ভোটের ব্যবধানে হারিয়েছেন কল্যাণ। এবার কী ফলাফল হবে, তার জন্য ৪ জুন পর্যন্ত অপেক্ষা।