• একপেশে ম্যাচে দুইয়ে দুই গম্ভীরের, জয়ের হ্যাটট্রিকে ফের একনম্বরে কেকেআর...
    আজকাল | ০৬ মে ২০২৪
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: আবার জয়ের হ্যাটট্রিক কলকাতা নাইট রাইডার্সের। রবিবাসরীয় রাতে লখনউয়ে কেএল রাহুলের দলকে হারাল নাইটরা। ৯৮ রানে বিশাল জয় কেকেআরের। দিল্লি ক্যাপিটলস, মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের পর লখনউ সুপার জায়ান্টস।‌ জোড়া অ্যাওয়ে ম্যাচে জিতল শ্রেয়স আইয়ারের দল। দুইয়ে দুই গৌতম গম্ভীরের। চলতি আইপিএলের আগে পর্যন্ত লখনউকে হারাতে পারেনি কেকেআর। তিনবারই হেরেছিল শাহরুখ খানের ফ্র্যাঞ্চাইজি।‌ কিন্তু গৌতম গম্ভীর দল বদলাতেই ঘুরল ভাগ্যও। দুটো ম্যাচই জিতল নাইটরা। জয়ের ফলে প্লে অফের দিকে আরও এক পা বাড়িয়ে রাখল কলকাতা। প্লে অফ কার্যত নিশ্চিত বলা যায়। ১১ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষস্থান দখল করে নিল কেকেআর। এক ম্যাচ কম খেলে সমসংখ্যক পয়েন্ট রাজস্থান রয়্যালসের। কিন্তু রানরেটে বাটলারদের পেছনে ফেলে দিল নাইটরা। জয়ের সিংহভাগ কৃতিত্ব সুনীল নারিনের। আরও একটি দুর্ধর্ষ ইনিংস উপহার দেন। দুই দলের মধ্যে পার্থক্য গড়ে দেন ক্যারিবিয়ান অলরাউন্ডার। প্রথমে ব্যাট করে ৬ উইকেট হারিয়ে ২৩৫ রান তোলে কেকেআর। জবাবে ১৬.১ ওভারে ১৩৭ রানে অলআউট লখনউ। নাইটদের বড় জয়গুলোর মধ্যে অন্যতম। একানা স্টেডিয়ামে শুরু থেকেই ঝড় তোলেন নারিন। চার, ছয়ের বন্যা। কোনও বোলারকেই রেয়াত করেননি। তাঁর ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে ভর করে পাওয়ার প্লের শেষে ১ উইকেট হারিয়ে কেকেআরের রান ছিল ৭০। অবশ্য এই দুর্দান্ত শুরুর জন্য কৃতিত্ব প্রাপ্য ফিল সল্টেরও। প্রথম থেকেই আগ্রাসী মনোভাবে ব্যাট করেন। সাধারণত লখনউয়ের মাঠে ব্যাট করা সহজ নয়। প্রথমে ব্যাট করে ১৫০-১৬০ রানের লক্ষ্যমাত্রা সেট করে বেশিরভাগ দল। কিন্তু এদিন সল্ট-নারিন ব্যাটিং অনেক সহজ করে দেয়। প্রথম উইকেটে ৬১ রান যোগ করে এই জুটি। ১৪ বলে ৩২ রান করে সল্ট আউট হওয়ার পর রুদ্রমূর্তি ধারণ করেন নারিন। ২৭ বলে অর্ধশতরান সম্পূর্ণ করেন। ৭টি ছয় এবং ৬টি চারের সাহায্যে ৩৯ বলে ৮১ রান করে আউট হন। ততক্ষণে যা ড্যামেজ করার করে দেন। ওয়ান ডাউনে নেমে ২৬ বলে ৩২ রান করেন অঙ্গকৃষ রঘুবংশী। এদিন রান পাননি আন্দ্রে রাসেল (১২) এবং রিঙ্কু সিং (১৬)। শেষদিকে গুরুত্বপূর্ণ রান যোগ করেন শ্রেয়স‌ আইয়ার (২৩) এবং রমনদীপ সিং (২৫)। দ্বিতীয় জনের কথা বিশেষ করে বলতে হবে। তাঁর জন্যই শেষমেষ ২৩৫ রানে পৌঁছয় নাইটরা। ৩টি ছয়, ১টি চারের সাহায্যে ৬ বলে ২৫ রান করেন কেকেআরের অলরাউন্ডার। ৩ উইকেট নেন নবীন উল হক। জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই আত্মসমর্পণ লখনউয়ের। নিয়মিত উইকেট হারায় কেএল রাহুলের দল। ২৩৫ রান তাড়া করতে নেমে বিপক্ষের কোনও ব্যাটারই অর্ধশতরানে পৌঁছতে পারেনি। সর্বোচ্চ রান মার্কাস স্টোইনিসের। ২১ বলে ৩৬ রান করেন লখনউয়ের অলরাউন্ডার। কিছুটা চেষ্টা করেন রাহুল। কিন্তু এদিন বিশেষ সুবিধা করতে পারেননি। ২১ বলে ২৫ রান করে আউট হন লখনউয়ের নেতা। বাকিরা ডাহা ব্যর্থ। ২০ ওভারও ব্যাট করতে পারেনি লখনউ। ১৬.১ ওভারেই শেষ হয়ে যায় ইনিংস। ঘরের মাঠে লজ্জার হার। ব্যাটে সফল হওয়ার পর বল হাতেও এক উইকেট তুলে নেন সুনীল নারিন। তিনটে করে উইকেট পান হর্ষিত রানা এবং বরুণ চক্রবর্তী। রান না পেলেও বল হাতে অবদান রাখেন আন্দ্রে রাসেল। জোড়া উইকেট শিকার ক্যারিবিয়ান অলরাউন্ডারের। স্টার্কের বলে রমনদীপ সিংয়ের দুর্দান্ত ক্যাচের উল্লেখ আলাদা ভাবে করতেই হবে। পেছন দিকে ছুটে অনেকটা জমি কভার করে ডাইভ মেরে যেভাবে আর্শিন‌ কুলকার্নির ক্যাচ ধরলেন, এক কথায় অনবদ্য। চলতি আইপিএলের সেরা ক্যাচগুলোর মধ্যে অনায়াসেই ঢুকে পড়বে এই ক্যাচ। 
  • Link to this news (আজকাল)