এই সময়: আগামী ১ জুন উত্তর কলকাতা লোকসভা কেন্দ্রের নির্বাচন। তার আগে বিজেপি এবং তৃণমূল সমর্থকদের মধ্যে ঝামেলায় গিরিশ পার্ক এবং ফুলবাগান এলাকায় আহত হলেন তিনজন। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন এক মহিলা বিজেপি কর্মীও। শনিবারের দু’টি ঘটনাতেই অভিযোগের আঙুল তৃণমূলের দিকে। কিছুদিন আগে দক্ষিণ কলকাতাতেও এক মহিলা বিজেপি কর্মী আহত হয়েছিলেন। পরে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে সরতে হয় আনন্দপুর থানার ওসিকে।শনিবার রাতে মানিকতলার ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি কর্মী ইন্দর যাদবের বোন শশীকে পাঁচ যুবক মারধর করেছেন বলে অভিযোগ তাঁর পরিবারের। রক্তাক্ত অবস্থায় ওই তরুণীকে এনআরএস হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়। চিকিৎসার পর ভোররাতে উত্তর কলকাতার জেলা বিজেপির সভাপতি তমোঘ্ন ঘোষের নেতৃত্বে ফুলবাগান থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়।
তার আগে সন্ধ্যায় গিরিশ পার্কে উত্তর কলকাতার প্রার্থী তাপস রায় পৌঁছতে, তাঁকে ঘিরে ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান দিতে থাকেন অনুগামীরা। তা দেখে তৃণমূল সমর্থকেরাও পাল্টা ‘গো ব্ল্যাক স্লোগান’ দিতে থাকেন। তার পরেই দু’পক্ষের মধ্যে ব্যাপক ঝামেলা শুরু হয়। গিরিশ পার্কের ঘটনার জেরেই পরে ইন্দরের বাড়িতে হামলা হয়েছে বলে অভিযোগ।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে খবর, শনিবার মানিকতলার ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে শীতলা পুজোর অনুষ্ঠান চলছিল। সেখানে গিয়েছিলেন উত্তর কলকাতার বিজেপি প্রার্থী তাপস রায়। তাঁকে কেন্দ্র করে যখন উত্তেজনা ছড়ায়, তখন সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিজেপি কর্মী ইন্দর যাদবের বোন শশী। অভিযোগ, সেই আক্রোশে রাতে ইন্দরের বাড়িতে চড়াও হন তৃণমূলের সমর্থকরা।
তাঁরা ওই মহিলাকে মারধর করেছে বলে অভিযোগ বিজেপির। এই ঘটনায় চারজন গ্রেপ্তার হলেও মূল অভিযুক্ত এখনও পলাতক বলে জানা যাচ্ছে। তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলেও, গোলমালের ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই বলে জানিয়েছেন তৃণমূলের উত্তর কলকাতা জেলা নেতৃত্বরা। তাদের দাবি, এই ঘটনাটি ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকে হয়েছে।