• কর্মজীবনে প্রবেশের আগে কৃতীদের সংবর্ধনা রাজ্যের
    এই সময় | ০৬ মে ২০২৪
  • এই সময়: ঝলমলে মুখগুলোয় পরিতৃপ্তির হাসি। এ হাসি অবশ্য তাঁদেরই প্রাপ্য। দীর্ঘ পরিশ্রম ও অধ্যবসায়ের জোরে তাঁরা এখন প্রত্যেকেই ‘সিভিল সার্ভেন্ট!’ এঁরা প্রত্যেকেই ২০২৩-এর ইউপিএসসি সিভিল সার্ভিসেস পরীক্ষায় পাশ করেছেন। র‍্যাঙ্ক অনুযায়ী কেউ হবেন আইএএস, কেউ আইপিএস, কেউ আইআরএস, আবার কেউ পাবেন অন্য আরও ২১টি ক্যাটেগরির মধ্যে একটা।এ বছর বাংলা থেকে মোট ১৫ জন সফল হয়েছেন। তার মধ্যে ৭ জন রাজ্য সরকারের ‘সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর সিভিল সার্ভিসেস স্টাডি সেন্টার’ থেকে। তাঁদের তো বটেই, রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে পাশ করা আরও ৮ জনকেও রবিবার সল্টলেকে নিজস্ব ভবনে সংবর্ধনা জানানো হলো ইনস্টিটিউটের তরফে। কৃতীরা হলেন, সেন্টারের অঙ্কিত আগরওয়াল, ব্রততী দত্ত, গৌতম ঠাকুরী, অনুষ্কা সরকার, রিমিতা সাহা, পারমিতা মালাকার ও মহম্মদ বুরহান জ়ামান। বাকিরা হলেন, রাজ্যে প্রথম জয়াশ্রী প্রধান, খান সাইমা সিরাজ আহমেদ, ঐশী মণ্ডল, অজয় মোক্তান, লক্ষ্মণ প্রতাপ চৌধরি, বিদীপ্ত সরকার ও মহম্মদ ওয়ারশিদ খান।

    অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সেন্টারের চেয়ারম্যান সুরজিৎ কর পুরকায়স্থ, রাজ্যের মুখ্যসচিব বিপি গোপালিকা, কোর্স ডিরেক্টর জিতিন যাদব, অ্যাকাডেমিক কনসালট্যান্ট জ্যোতির্ময় পালচৌধুরী-সহ আরও অনেকে। তাঁরা প্রত্যেকেই কৃতীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে নিজেদের লক্ষ্যে স্থির থেকে কাজ করার উৎসাহ দেন। এই সেন্টার কী ভাবে তাঁদের প্রতি মুহূর্তের প্রস্তুতিতে সাহায্য করেছে, কী ভাবে তাঁরা কাটাতে পেরেছেন ইন্টারভিউ ভীতি, কেমন করে মনের জোর ধরে রেখে দু’-একবার অসফলতার পরেও তাঁরা লক্ষ্যভেদে সফল হয়েছেন, সে কথা সকলের সঙ্গে ভাগ করে নেন।

    সেন্টারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী— এখান থেকে ২০২৩-এর প্রিলিমসে পাশ করেছিলেন ৬৬ জন। তাঁদের মধ্যে ১৬ জন মেনস-এ পাশ করে চূড়ান্ত পর্যায়ের পার্সোনালিটি টেস্টের জন্য ডাক পান। তার মধ্যে থেকে ৭ জন ২০২৩-এর UPSC CSE-র তালিকায় জায়গা করে নেন।

    সারা বছর ধরেই এই সেন্টার অ্যাসপিরেন্টদের জন্য নানা কোর্স অফার করে। ১০ মাসের অন-ক্যাম্পাস কম্পোজ়িট কোর্স, ৮-১২ সপ্তাহের প্রিলিমস ক্র্যাাশ কোর্স ও মক টেস্ট, মেনস গাইডেন্স প্রোগ্রাম ও ইন্টারভিউ ট্রেনিং সেশন ও মক ইন্টারভিউ।
  • Link to this news (এই সময়)