সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ SSC নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ২০১৬-র নবম-দশম, একাদশ-দ্বাদশ এবং গ্রুপ সি-ডির যাবতীয় নিয়োগ বাতিল করে। চাকরি হারিয়েছিলেন প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক এবং অশিক্ষক কর্মী। ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকার, এসএসসি এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদ কড়া নেড়েছে সর্বোচ্চ আদালতে। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় মামলাটি শুনছেন। ইতিমধ্যেই একটি শুনানি হয়েছিল মামলাটির। যেখানে চাকরি বাতিলের নির্দেশে কোনও স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়নি। সোমবার এই মামলার দিকে তাকিয়েছিলেন চাকরিহারারা। কিন্তু, সুপ্রিম কোর্টে এই মামলার শুনানি সোমবার হল না।সময়ের জন্য পিছিয়ে যায় এই মামলা। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় জানিয়েছেন, মঙ্গলবার মামলাটির শুনানি হতে চলেছে। মঙ্গলবার সর্বোচ্চ আদালত এই মামলাটি শুনতে চলেছে। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সমস্ত পক্ষের বক্তব্য শুনতে চায় সুপ্রিম কোর্ট। রাজ্য, এসএসসির পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন চাকরিহারারাও।
মঙ্গলবার সমস্ত পক্ষের বক্তব্য শুনতে চায় আদালত। চাকরিহারারা এই প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিলের নির্দেশের উপর সুপ্রিম স্থগিতাদেশ আশা করছেন। ইতিমধ্যেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, শেষ পর্যন্ত তাঁরা আইনি লড়াই করবেন। প্রায় ২৬ হাজারের চাকরি বাতিল মানে প্রায় এক লাখ মানুষ সম্পর্ক যুক্ত, এই কথাও উল্লেখ করতে শোনা গিয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তিনি বলেছিলেন, সকলের পাশে দাঁড়াবেন তিনি।
অন্যদিকে, নরেন্দ্র মোদী বাংলায় প্রচারে এসে বলেছিলেন দলীয়ভাবে 'যোগ্য' চাকরিহারাদের পাশে থাকতে চান তিনি। রাজ্য BJP-কে চাকরিহারা, যাঁরা যোগ্য তাঁদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য একটি লিগ্যাল সেল এবং সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম চালু করার কথাও বলেছিলেন। সেই মোতাবেক একটি লিগ্যাল সেল চালু করেছে BJP-ও। আগামী বুধবার থেকে তা চালু হবে। সেখানে যে প্রার্থীরা আবেদন করবেন তাঁদের আইনি সাহায্য দেওয়া হবে। যদিও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট জানিয়েছেন, এই প্রসঙ্গে যতদূর লড়া যায় তা রাজ্য নিজেই চলতে চলেছে।
SSC সম্প্রতি জানিয়েছে, যোগ্য এবং অযোগ্যদের ফারাক বোঝানো সম্ভব। এদিকে এদিন সর্বোচ্চ আদালতের দিকে চেয়েছিলেন চাকরিহারারা। তাঁদের দাবি ছিল, মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে গোটা বিষয়টি বিচার করে দেখুক সুপ্রিম কোর্ট। একজন যোগ্য প্রার্থীর চাকরি গেলেও তাঁর সঙ্গে অবিচার করা হবে, দাবি তাঁদের। নিজেদের যোগ্য দাবি করা এই চাকরিহারাদের বক্তব্য, 'সুপ্রিম কোর্টে ন্যায় বিচার পাব, এই আশা করছি।'