Jharkhand Cash Recovery : ১৫ হাজারি সরকারি চাকরির জন্য ঘুষের বন্যা, ED হানায় উদ্ধার ৩০ কোটি টাকা! জানুন 'অন্দর কি বাত'
এই সময় | ০৬ মে ২০২৪
রাঁচিতে ED রাজ্যের মন্ত্রী আলমগীর আলমের আপ্তসহায়কের পরিচারকের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে কোটি কোটি নগদ উদ্ধার হয়েছে। এখনও পর্যন্ত পরিচারকের বাড়ি থেকে প্রায় ২০ থেকে ৩০ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ঘরের বিভিন্ন কোণ থেকে টাকা উদ্ধার হয়েছে। আর্থিক তছরুপের মামলাতে এই টাকা বেআইনিভাবে লেনদেন হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।ED গোপন সূত্রে খবর পেয়েছে, মন্ত্রী আলমগীর আলমের দফতরে বেআইনি লেনদেন চলছিল। সেই সূত্র ধরেই মন্ত্রীর আপ্তসহায়কের পরিচারকের বাড়িতে তল্লাশি চালায় কেন্দ্রীয় এজেন্সি। নোট গোণার মেশিন নিয়ে বিপুল পরিমাণ টাকার মোট অঙ্ক বের করার চেষ্টা চলছে।
হাজার হাজার ঘুষের মামলা২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ঝাড়খণ্ডের গ্রামোন্নয়ন বিভাগের চিফ ইঞ্জিনিয়ার বীরেন্দ্র রামকে গ্রেফতার করে ED। একাধিক প্রকল্পের কাজে আর্থিক তছরুপের অভিযোগ ছিল তাঁর বিরুদ্ধে। ১৫ হাজারের বেতনের চাকরিতে ১০ হাজার করে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। সে সময় মুখ্য ইঞ্জিনিয়ার ED জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, মন্ত্রীর কাছে ঘুষের টাকা পৌঁছে দেওয়া হত। এরপরই গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী আলমগীর আলমের নাম প্রথমবার এই মামলায় প্রকাশ্যে আসে। তদন্ত চলাকালীন এই মামলায় জড়ায় মন্ত্রীর আপ্তসহায়ক সঞ্জীব লালের নাম। তাঁর বাড়িতে কর্মরত পরিচারকের বাড়িতেই বেআইনি টাকা রাখা হত বলে তদন্তে উঠে আসে। সেই মর্মেই এদিন তল্লাশি চালানো হয় পরিচারকের বাড়িতে।
কে এই আলমগীর আলম?আলমগীর আলম বিধানসভায় কংগ্রেসের চার বারের বিধায়ক। বর্তমানে ঝাড়খণ্ড বিধানসভায় তিনি গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী। এর আগে ২০০৬ সালের ২০ অক্টোবর থেকে ২০০৯ সালের ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত ঝাড়খণ্ড বিধানসভার অধ্যক্ষও ছিলেন তিনি। পঞ্চায়েত নির্বাচন জয় দিয়ে রাজনীতি শুরু করেছিলেন আলমগীর আলম। ২০০০ সালে তিনি প্রথমবার বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছিলেন। সেই থেকে মোট চারবার তিনি বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছেন।
উল্লেখ্য, লোকসভা ভোটের আগে গ্রেফতার হয়েছিলেন ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। তাঁর বিরুদ্ধেও আর্থিক তছরুপের অভিযোগ রয়েছে। এদিকে, গ্রেফতারির মুহূর্তে তিনি মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেন। একাধিকবার জামিনের আবেদন করলেও তা খারিজ করে দিয়েছে আদালত। এর মাঝেই আরও এক দুর্নীতি মামলায় কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা উদ্ধার নতুন করে হইচই ফেলে দিয়েছে। কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই আঙুল তুলতে শুরু করেছে BJP শিবির।