পাক অধিকৃত কাশ্মীরকে উদ্ধার করে ভারতের অংশ করো নেওয়ার কথা হামেশাই বলেন বিজেপি নেতারা। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী পাক জঙ্গি তৎপরতা নিয় সতর্ক করে নাম উহ্য রেখে পড়শি দেশকে ‘ঘরে ঢুকে মরব’ বলে হুঁশিয়ারি দিয়ছেন। অন্যদিকে, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং ফের বলেছেন পাক অধিকৃত কাশ্মীর ভারত কব্জা করবেই।রাজনাথ সিংয়ের সেই কথার কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লাহ। প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে তাঁর পরামর্শ, মনে রাখবেন, ‘পাকিস্তান চুড়ি পরে বসে নেই। ওদের হাতেও পরমাণু বোমা আছে।’
খুব স্বাভাবিকভাবেই ভোটের সময় ফারুকের মন্তব্য নিয়ে রাজনৈতিক বিতর্ক তৈরি হয়েছে।বিজেপির দাবি, সরাসরি পাকিস্তানের সমর্থনে কতা বলেছেন এনসি-র প্রধান। রবিবার ফারুক সংবাদ মাধ্যমের সামনে রাজনাথের মন্তব্য প্রসঙ্গে বলেন, ‘প্রতিরক্ষামন্ত্রী যদি এটা বলে থাকেন, তবে এগোতেই পারেন। কে তাংকে বাধা দিয়েছে? কিন্তু মাথায় রাখতে হবে পাকিস্তানও হাতে চুড়ি পরে বসে নেই। তাদের কাছে পারমাণবিক বোমা আছে এবং দুর্ভাগ্যজনকভাবে সেটা আমাদের পরেই এসে পড়বে।’
ফারুকের দলের কেউ কেউ অবশ্য তাঁর বক্তব্যের ব্যাখ্যা করে দাবি করছেন, দুই পরমাণু শক্তিধর দেশের মধ্যে লড়াই শুরু হলে তার পরিণতি যে ভয়ঙ্কর হতে পারে সে কথাই বোঝাতে চেয়েছেন ফারুক। তারপরেও অবশ্য বিতর্ক থামছে না।
তারপর্যপূর্ণ হল অতীতে ভারতের নির্বাচনে পাকিস্তানি রাজনীতিক বিশেষ করে ক্ষমতসীন নেতারা হিন্দুস্থানের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন। কাশ্মীর নিয়েই সরব হয়েছেন বেশিরভাগ নেতা। এবার এখনও পর্যন্ত তেমন জোরালো আক্রমণ শোনা যায়নি। বরং ইসলামাবাদের জোট সরকারের প্রধান শরিক পাকিস্তান মুসলিম লিগ এর প্রধান প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ, তাংর কন্যা সে দেশের পাঞ্জাব প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মরিয়ম নওয়াজ ভারতের সঙ্গে সৌভাতৃত্বের বার্তা দিয়েছেন। সম্প্রতি পাকিস্তানের বণিক মহল প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফকে ভারতের প্রতি বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন।
এই পরিস্থিতিতে ভারতে লোকসভা নির্বাচনে বরাবরের মতো এবারও পাকিস্তান এবং কাশ্মীর প্রসঙ্গ এসেছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর নাম করে পাকিস্তানকে জড়িয়ে তাঁর সম্পর্কে টিপ্পনী করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর কথায়, পাকিস্তান কংগ্রেসের শাহজাদাকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দেখতে চায়।
রাজনাথ কাশ্মীর প্রসঙ্গ এনেছেন একটি সাক্ষাৎকারে। সেখানে তিনি ফের বলেছেন, পাকিস্তানের জখলে থাকা কাশ্মীরকে ফেরানো হবেই। সেইসঙ্গে বলেছেন, এজন্য ভারত কোনও বলপ্রয়োগ করবে না। কিন্তু যুদ্ধ বিনা কী করে পুনর্দখলসম্ভব তা স্পষ্ট করেননি প্রতিরক্ষা মন্ত্রী।