পাণ্ডুয়া বিস্ফোরণের নেপথ্যে কি ত্রিকোণ প্রেম? তদন্তে নেমে পুলিশের জালে জখম কিশোরের মা
এই সময় | ০৬ মে ২০২৪
পাণ্ডুয়ার বিস্ফোরণে ব্যক্তিগত টানাপোড়েন! পুলিশের জালে ১। সোমবার সপ্তাহের প্রথম দিন কেঁপে ওঠে পাণ্ডুয়ার নয়া মোড় এলাকা। মৃত্যু হয়েছে রাজ বিশ্বাস নামক এক খুদের। আহত আরও দুই জন। তাদের একজনের হাত উড়ে গিয়েছে। এই ঘটনার তদন্তে নেমে সমস্ত দিক খতিয়ে দেখে পুলিশ। এরপরেই উঠে আসে নয়া তথ্য।হুগলি গ্রামীণ পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কল্যাণ সরকার জানান, আহত এক কিশোরের বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে মহিলাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মহিলা অভিযোগকারী প্রাক্তন স্ত্রী। ব্যক্তিগত শত্রুতার জেরে নেতাজি পল্লিতে বোমা রাখা হয়েছিল বলে সন্দেহ পুলিশের। সেই বোমাকে বল ভেবে খেলতে যায় তিন কিশোর। বিস্ফোরণে মৃত্যু হয় একজনেরষ আহত হয় দু'জন। আহতদের মধ্যে এক কিশোরের বাবা সুকদেব বল্লভের অভিযোগ, তাঁর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর পাড়ারই এক যুবককে বিয়ে করেন তাঁর স্ত্রী। বিহারে হাতুড়ে চিকিৎসকের কাজ করেন ওই যুবক। নেতাজি পল্লিতে তাঁর দোতলা বাড়ি তালা দেওয়া। মাস পাঁচেক আগে তাঁরা বিহারে চলে যান। স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হলেও সন্তানকে দেখতে আসতেন সুকদেবের প্রক্তন স্ত্রী।
গত পরশু দাঁতের চিকিৎসার জন্য পান্ডুয়া আসেন তিনি। এদিন সকালে বোমা বিস্ফোরণের পর হাসপাতালেও যান ছেলেকে দেখতে। তাঁর গ্রেফতারের ঘটনায় হতবাক প্রতিবেশীরা। হিলার এক ভাড়াটে জানান,আজ ফোনে তাঁর সঙ্গে কথা হলে জানায় তাঁকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বোমা রাখা বা বিস্ফোরণেকতটা হাত রয়েছে অভিযুক্তের, তা বুঝে উঠতে পারছেন না মহিলার বাপের বাড়ির গ্রাম সবুজ পল্লির বাসিন্দারা।
তবে পুলিশ জানিয়েছে, তারা অভিযোগের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নিয়েছে। মহিলার বর্তমান স্বামীর বিরুদ্ধেও অভিযোগ রয়েছে। সমস্ত দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। অন্যদিকে, CID-র বম্ব স্কোয়াড ঘটনাস্থলে আসে তদন্তে। সেখান থেকে আরও দুটি বোমা উদ্ধার হয়।
স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, নিছক ব্যক্তিগত কারণেই কি বোমা রাখা হয়েছিল? নাকি নেপথ্যে রয়েছে আরও বড় কোনও ছক? জানা গিয়েছে, স্থানীয়দের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। সমস্ত তথ্য খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই ঘটনায় কোনও গভীর ষড়যন্ত্র রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এদিকে হুগলির বিস্ফোরণের ঘটনায় মৃত রাজের পরিবার কান্নায় ভেঙে পড়েছে। দোষীদের শাস্তি দাবি করেছেন তাঁরা। থমথমে ওই গোটা পাড়া। কোথা থেকে কী হয়ে গেল, তা ঠাহর করতে পারছে না কেউ।