• হিট স্ট্রোক আক্রান্তদের জন্য 'হিট কর্নার', কী কী থাকছে?
    এই সময় | ০৬ মে ২০২৪
  • প্রচণ্ড গরমে কার্যত ত্রাহি ত্রাহি রব দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে। উত্তরবঙ্গের নীচের দিকের জেলাগুলিতেও গরমের দাপট অব্যাহত। এই পরিস্থিতি দক্ষিণ দিনাজপুরে বিশেষ উদ্যোগ নিল বালুরঘাট জেলা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তাপমাত্রার পারদ মোটামুটিভাবে ৪০ থেকে ৪২ ডিগ্রির আশেপাশে ঘোরাফেরা করছে। আর এই তীব্র গরমের কারণে হিটস্ট্রোক আশঙ্কাও বেড়ে যায়। আর তাই মানুষের স্বার্থে হাসপাতালে খোলা হল হিট কর্নার।১৫ দিন ধরে তাপপ্রবাহের পরিস্থিতিএকদিকে নির্বাচনী উত্তাপ, অন্যদিকে আবহাওয়ায় জ্বালা ধরানো গরম। বলতে গেলে ভোট এবং আবহাওয়া সমানভাবেই উত্তাপ ছড়াচ্ছে। লাগাতার প্রায় ১৫ দিন ধরে বালুরঘাট সহ গোটা দক্ষিণ দিনাজপুর জেলাজুড়ে জারি রয়েছে তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি। এই প্রসঙ্গ, হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, রবিবার পর্যন্ত দক্ষিণ জিনাজপুরে বৃষ্টিপাতের তেমন কোনও সম্ভাবনা নেই। এমনকী গরম আরও বাড়তেও পারে। প্রচণ্ড দাবদাহের কারণে সাধারণ মানুষের জীবনযাপনেও পরিবর্তন এসেছে। বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া দিনের বেলায় মানুষকে বাড়ির থেকে না বের হওয়ারই পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। একইসঙ্গে সাধারণ মানুষ কোনও কারণে হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হলে তাঁদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়ার উদ্দেশেই এই 'হিট কর্নার' তৈরির উদ্যোগ।

    কী কী থাকছে হিট কর্নারে?এক্ষেত্রে বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে জরুরি বিভাগে এবং পুরোনো এসএনসিউ বিভাগে হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত রোগীদের জন্য বিশেষ চিকিৎসার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। হিট কর্নারে রাখা হয়েছে শীততাপ নিয়ন্ত্রিত ঘর, বরফ, ঠান্ডা জল, স্ট্যান্ড ফ্যান, তোয়ালে, ও রেকটাল থার্মোমিটারের ব্যবস্থা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মনে করছে, হিট স্ট্রোকের চিকিৎসা সঠিক সময় করলে রোগীর দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠার সম্ভাবনা থাকে। অন্যথায় চিকিৎসা শুরু করতে বিলম্ব হলে রোগীর মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।

    প্রসঙ্গত, গরম থেকে বাঁচতে ও সুস্থ থাকতে বেশকিছু পরামর্শ দিচ্ছে আলিপুর আবহাওয়া দফতরও। হাওয়া অফিসের পরামর্শ, সকাল ১১টা থেকে বিকাল ৪টের মধ্যে দীর্ঘ সময় সূর্যের আলোয় থাকা বা বাড়ির বাইরে বেরোন এড়িয়ে চলার পরমর্শ দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি হালকা ওজনের, হালকা রঙের, ঢিলেঢালা, সুতির কাপড় পরার পরামর্শও দেওয়া হচ্ছে। রোদে বের হলে মাথা ঢাকতে কাপড়, টুপি বা ছাতা ব্যবহার করতে হবে। ডিহাইড্রেশন এড়াতে পিপাসা না পেলেও পর্যাপ্ত জলপান করতে হবে। থেকে হবে ওআরএস, ঘরে তৈরি পানীয় যেমন লস্যি, লেবুর জল, বাটারমিল্ক ইত্যাদি। আর মাথা ঘোরা, মাথা ব্যাথা, বমি বমি ভাব, ঘাম, খিঁচুনি, অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার মতো কোনওরকম শারীরিক সমস্যা দেখা দিলে অবিলম্বে চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে।
  • Link to this news (এই সময়)