গড়পড়তা লিভার ও অন্যান্য কিছু অঙ্গের ওজনও কমে যায়। তাহলে মস্তিষ্ক নিয়ে আলোচনা কেন? ওজনের ভিত্তিতে মেয়েদের মস্তিষ্ককে যদি ছোট বলা হয় তাহলে ছেলেদের মস্তিষ্ককে মোটা বলা হয় না কেন? খুব স্বাভাবিকভাবেই মনে প্রশ্ন আসবে যে এই শব্দ পরিবর্তনের সঙ্গে এর কী সম্পর্ক?
অ ইউরোপীয়দের বিভিন্নভাবে অসভ্য বলার চেষ্টা করাহয়এছিল। ইতিহাসে এমন শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে যা মানুষের জন্যও ব্যবহারযোগ্য ছিল না। একইভাবে মেয়েদের মস্তিষ্কের ওজন নিয়েও অনেক জল্পনা তৈরি হয়েছিল। মেয়েদের এবং ছেলেদের মস্তিষ্কের মধ্যে ভিত্তিহীন তুলনা করা হয়েছিল যে ছেলেরা গণিত উপভোগ করে এবং মেয়েরা মাল্টি টাস্কিং উপভোগ করে। মাল্টিটাস্কিং হলো ঘরেরকাজের একটি প্রযুক্তিগত নাম। তারপর বলা হলো এর পিছনের কারণ হলো উভয়ের মস্তিষ্কের গঠনের পার্থক্য। এমনকি বছরের পর বছর গবেষণা চলে এটিকে ঘিরে।তাহলে আজকের নিউরোসায়েন্স কী বলে মেয়ে ও ছেলেদের মস্তিষ্ক নিয়ে?মস্তিষ্কের আকারের সঙ্গে কি সত্যিই বুদ্ধিমত্তার কোনও সম্পর্ক আছে? নাকি এটা কেবল নিজস্ব চিন্তার মধ্যে সীমাবদ্ধ মানুষের ক্যাচফ্রেজ?
১৯২৭ সালে বিজ্ঞানের একটি খুব বড় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। নাম ছিল সলভে কনফারেন্স। এর ছবিটিকে বলা হয় বিশ্বেরসবচেয় উজ্জ্বল ছবি। কারণ এতে বিজ্ঞান জগতের সেই সব নাম রয়েছে যা দিয়ে দশম শ্রেণি থেকে স্নাতকোত্তর পর্যন্তপদার্থবিদ্যার বই ভর্তি করা হয়। হাইজেন বার্গ, নিলস বোর, শ্রোডিঙ্গার, ম্যাক্স প্লাঙ্ক, পাওলি এবং আইনস্টাইনের মতো বিজ্ঞানীরা যোগ দিয়েছিলেন সেই কনফারেন্সে।
ওপেনহাইমার। নামটা সবার খুব পরিচিত। কিন্তু লিসে মিটনারের নাম শুনেছেন কখনও? তিনি পারমানবিক ফিউশন তত্ত্বের উপর কাজ করেছিলেন, যা ছাড়া পারমানবিক বোমা কল্পনা করা কঠিন ছিল। আমেরিকান প্রেস তার নাম দিয়েছে ‘পারমানবিক বোমার মা’। তাঁর সহকর্মী হ্যান নিউক্লিয়ার ফিউশনের জন্য নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হন। কিন্তু একজন নারী এবং ইহুদি হওয়ার কারণে লিসের কাজ সেভাবে সকলের আকর্ষণ কাড়তে পারেনি। এরকম লিসই একমাত্র মহিলা নন যার কাজটি যোগ্য সম্মান পায়নি।
ব্রিটিশ রসায়নবিদ রোজালিন্ড এলসি ফ্রাঙ্কলিনের গল্পও একই রকম। ডিএনএর গঠন আবিষ্কারেরক্ষেত্রে এগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়। মনুষ ডিএনএর গঠনকে জীববিজ্ঞানের জগতের স্পর্কাতর বলে মনে করে, এর আবিস্কারের পরই সব অগ্রগতি সম্ভব হয়েছে।