Global Warming Effects: শুধু কলকাতা নয়, বিশ্বজুড়ে কেন বাড়ল গরম? দায়ী কারা? জানুন
এই সময় | ০৭ মে ২০২৪
এপ্রিল শেষ এবং মে মাসের এক সপ্তাহও পেরিয়ে গেছে এবং এর সাথেই তাপ তার ভয়াবহ রূপ দেখাতে শুরু করেছে। পুরো ভারতকে এই সময়ে প্রচণ্ড গরমের সম্মুখীন হতে হচ্ছে। আশ্চর্যের বিষয় হলো শুধু মাত্র এশিয় দেশগুলিই নয়, পশ্চিমের দেশগুলো এমনকি দক্ষিণ গোলার্ধে অবস্থিত অ্যান্টার্কটিকাও প্রচন্ড গরমে আক্রান্ত হচ্ছে।সবসময়ে তুষারে ঢাকা এবং হিমবাহে আবৃত থাকা অ্যান্টার্কটিকা প্রথমবারের মতো এমন প্রচন্ড তাপ অনুভব করছে। এই শীতল অঞ্ছলে বসবাসকারী প্রাণীরাও সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি দ্বারা ঝলসে যাচ্ছে। এমতাবস্থায় সবাই চিন্তিত যে এত গরম কীভাবে পড়ল? এর পিছন কারণটাই বা কী?
বিশ্বজুড়ে প্রচণ্ড গরমকে ধ্বংসের লক্ষণ হিসেবে বিবেচনা করছেন বিজ্ঞানীরা। আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তাপপ্রবাহ যা ভৌগলিকভাবে ভারতের একটি বড় অংশকে প্রভাবিত করে যা ১০০ বছরে একবার ঘটে। তবে ভারত ছাড়াও এটি গোটা বিশ্বকে প্রভাবিত করেছে। বিশ্বের অনেক দেশেই এর প্রভাব পড়েছে। শীতল দেশগুলিও প্রচন্ড গরমের সম্মুখীন হচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এই তাপ বৃদ্ধির সম্ভাবনা ৩০ গুণ বেড়ে গিয়েছে।
চলতি বছরে সূর্য এতো গরম কেনো?
সম্প্রতি সকাল ৭ টা বাজতে না বাজতেই রোদের তেজ কড়া হয়ে যায় এবং দুপুর ১২ টা বাজতে না বাজতেই রোদে ঝলসে যাচ্ছে গোটা দেশ। আসলে গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়ের কারণে রোদের তেজ থেকে রক্ষাকারী ওজোনস্তরটি পাতলা হয়ে গেছে। আসল যখন জীবশ্ম জ্বালানি পোড়ানো হয়, তখন কার্বন দূষণ বায়ুমণ্ডলে থেকে যায়, যা কটি কম্বলের মতো কাজ করে এবং তাপকে আটকে রাখে। আজ বায়ুমণ্ডলে এত বেশি কার্বন দূষণ রয়েছে যে এটি আবহাওয়ার পরিবর্তন করে তাপকে বাড়াচ্ছে। যদি আমরা দূষণ দূর করতে না পারি তাহলে তাপ আরও বাড়বে। আমরা যদি আমাদর কার্বন দূষণ কমাতে পদক্ষেপ নিই তাহলে আমরা আমাদের পরবর্তী প্রজন্মকে এই বিপর্যয়র হাত থেকে বাঁচাতে পারব।
এই মাত্রাতিরিক্ত তাপ থেকে বাঁচতে কার্বন নিঃসরণে সবচেয়ে বেশি নজর দেওয়া হচ্ছে। কারণ এগুলোই তাপ বৃদ্ধির সবচয়ে বড় কারণ। এটিও জলবায়ু পরিবর্তনের একটি বড় কারণ হয়ে উঠছে। গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়ের এই সংকট মোকাবিলায় বড় দেশগুলোর বড় পরিকল্পণা রয়েছে। যা প্যারিস জলবায়ু চুক্তি ২০১৫ তে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। প্যারিস চুক্তি গ্রীন হাউস গ্যস নির্গত পরিমাণ সীমিত উপর ভিত্তি করে। চুক্তি সাক্ষরের ১০ বছর অতিবাহিত হলেও এখনো পর্যন্ত কোনও দেশই এতে উল্লেখযোগ্য কোনো কাজ করেনি।