• রবীন্দ্রনাথের জন্মদিনেও কড়া কমিশন, রাজনৈতিক নেতাদের অংশগ্রহণে 'না'
    ২৪ ঘন্টা | ০৭ মে ২০২৪
  • সুতপা সেন: ভোটের মরশুমে এবার রবীন্দ্র জয়ন্তীর অনুষ্ঠানেও  রাশ টানল নির্বাচন কমিশন। রাজনৈতিক নেতারা তো বটেই, সেদিন রবীন্দ্র সদনে থাকতে পারবেন না রাজ্য়ের কোনও মন্ত্রী, এমনকী স্বয়ং মুখ্য়মন্ত্রীও! থাকবেন শুধুমাত্র সরকারি আধিকারিকরা। জারি করা হল নির্দেশিকা। 

    আর বেশি দেরি নেই। ২৫ বৈশাখ কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মদিন। রবীন্দ্র জয়ন্তীতে প্রতিবছরই রাজ্য় সরকারের উদ্যোগে অনুষ্ঠান হয় কলকাতার রবীন্দ্র সদনে। সেই অনুষ্ঠানে হাজির থাকেন মুখ্যমন্ত্রী-সহ রাজ্যের মন্ত্রী।এদিকে এখন লোকসভা নির্বাচন চলছে। প্রথম দু'দফার ভোট শেষ। রাত পোহালেই তৃতীয় দফা। আগামিকাল, মঙ্গলবার ভোট হবে মালদা উত্তর, মালদা দক্ষিণ, মুর্শিদাবাদ, জঙ্গিপুরে। এবার কী রবীন্দ্রজয়ন্তীর অনুষ্ঠান করা যাবে? কমিশনের কাছে জানতে চেয়েছিল রাজ্য।এর আগে, ভোটের মুখে রাজ্যকে  শর্তসাপেক্ষে 'বাংলা দিবস' পালনের অনুমতি দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। কবে? পয়লা বৈশাখ। কমিশনের নির্দেশ ছিল, সেদিন অনুষ্ঠান আয়োজনের দায়িত্ব থাকবেন শুধুমাত্র সরকারি আধিকারিকরাই। ব্যক্তিগতভাবে মন্ত্রীরা অনুষ্ঠানে হাজির থাকতে পারবেন, কিন্তু  অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। এমনকী, নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল বিজ্ঞাপনেও।ঘটনাটি ঠিক কী? কেন্দ্রের নির্দেশিকা মেনে গত বছরের ২০ জুন পশ্চিমবঙ্গ দিবস পালিত হয়েছিল রাজভবনে। ঠিক যেমন পালিত হয়েছিল গোয়া দিবস, সিকিম দিবস, এমনকী, তেলেঙ্গানা দিবসও। শুধু তাই নয়, তালিকায় ২০ জুন তারিখটিকেই 'পশ্চিমবঙ্গ দিবস' হিসেবে উল্লেখ করা হয়।এদিকে এই পশ্চিমবঙ্গ দিবস পালন করাকে কেন্দ্র করে নবান্ন-রাজভবন সংঘাত চরমে পৌঁছয়। রাজ্যপালকে সিভি আনন্দ বোসকে চিঠি দেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপর স্রেফ বিধানসভা প্রস্তাব আনাই নয়, মুখ্যমন্ত্রীর অনুরোধে ৭ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই কমিটিই প্রস্তাব দেয়, পয়লা বৈশাখ পশ্চিমবঙ্গ দিবস পালন করা হোক। সেপ্টেম্বর সেই প্রস্তাব পাস হয় বিধানসভায়।
  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)