টানা তাপপ্রবাহের পর অবশেষে স্বস্তির বৃষ্টি তিলোত্তমায়
প্রতিদিন | ০৭ মে ২০২৪
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: টানা একমাসের ভ্যাপসা গরম থেকে মুক্তি। অবশেষে স্বস্তির বৃষ্টি তিলোত্তমায়। সোমবার বিকেল থেকেই বৃষ্টি শুরু হয়েছে দক্ষিণবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলায়। টানা তাপপ্রবাহের পর সোম সন্ধের বৃষ্টিতে উৎফুল্ল শহরবাসী।
সোমবার যে বৃষ্টির মুখ দেখবে গরমে নাজেহাল কলকাতা। তা হাওয়া অফিস আগেই জানিয়েছিল। তাই সকাল থেকেই বৃষ্টির জন্য হাপিত্য়েস করে বসেছিল শহরবাসী। অবশেষে সন্ধে নামতেই বৃষ্টি এল ঝেঁপে।
পূর্বাভাস অনুযায়ী, কালবৈশাখী ঝড়ের সঙ্গে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে দক্ষিণবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, পূর্ব বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া এই সমস্ত জেলা গুলিতে। ঘণ্টায় ৫০ থেকে ৬০ বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইবে। টানা বেশ কিছুদিন দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে যে হারে গরম পড়েছিল তার থেকে একটু হলেও রেহাই পেতে চলেছে তাঁরা।
রাজ্যের সবকটি জেলাতেই রয়েছে কালবৈশাখীর সম্ভাবনা। মঙ্গলবার ভারী বৃষ্টির পাশাপাশি ঝড়ের বেগ বেশি থাকতে পারে। ইতিমধ্যেই এই নিয়ে সতর্কতা জারি করেছে হাওয়া অফিস।
প্রসঙ্গত, একটানা দাবদাহের পর সোমবার বিকেলে কালবৈশাখীর দেখা মেলে। আর কালবৈশাখীর প্রথম ধাক্কাতেই কাটোয়া ও কেতুগ্রামে বজ্রপাতে মৃত্যু হয় দুজনের। জখম একজন। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কাটোয়ার কামাল গ্রামের বাগদিপাড়ার বাসিন্দা উন্নতি মাঝি (৪৯) নামে এক বধূ ভেড়া চড়িয়ে বাড়ি ফেরার সময় বজ্রপাতে আহত হন। তাঁকে কাটোয়া হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। কেতুগ্রামের খাটুন্দি গ্রামে বিশ্বনাথ থান্দার (৬৮) নামে এক ব্যক্তি বজ্রপাতে মারা গিয়েছেন। তিনি মাঠ থেকে গরু চড়িয়ে ফেরার সময় এই ঘটনা ঘটে। কেতুগ্রামের পালিটা গ্রামে সুষ্মিতা সোরেন (১৪) এক কিশোরী বজ্রপাতে জখম হয়।
অন্যদিকে, পুরুলিয়ায় বাজ পড়ে ইতিমধ্যে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। অসমর্থিত সূত্রে খবর, অন্যান্য জেলায় অন্তত তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতরা হলেন ট্রাক্টর চালক প্রিয়রঞ্জন মাহাতো ( ৩০) এবং
রাহুল কুমার (২১)। ২ জন জখম হয়েছেন। এরা সবাই মিলে এদিন পুকুরে স্নান করতে গিয়েছিলেন।