Rain In Kolkata : ঝড়-বৃষ্টির কারণে ব্যাহত রেল-বিমান পরিষেবা, দুর্ভোগ যাত্রীদের
এই সময় | ০৭ মে ২০২৪
স্বস্তির বৃষ্টির মধ্যেও অস্বস্তির কাঁটা। রেল ও বিমান চলাচলে বিপত্তি। একাধিক বিমান কলকাতায় দুর্যোগের কারণে অন্য পথে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে। রেল চলাচলেও বেশ কিছু জাগায় বিঘ্ন ঘটেছে। কলকাতার প্রায় সর্বত্র এদিন বেশ ভালো পরিমাণ বৃষ্টি হয়েছে। বজ্রবিদ্যুৎ সহকারে ঝোড়ো হওয়ার সঙ্গে বৃষ্টির কারণে বিপত্তি হয়।কলকাতা বিমানবন্দর সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কিছু ফলিত এদিন র্যাম্প রিটার্ন করেছে। বেশ কিছু ফ্লাইটের যাত্রাপথ পরিবর্তন করা হয়েছে। AI745, কলকাতা থেকে আগরতলার ফ্লাইট কলকাতায় ফিরিয়ে আনা হয়েছে। AI764 দিল্লি থেকে কলকাতা ফ্লাইট ভুবনেশ্বরের দিকে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়। SG 3782 বাগডোগরা থেকে কলকাতা ফ্লাইট গুয়াহাটি দিকে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়। এছাড়াও একাধিক ফ্লাইট র্যাম্প রিটার্ন করেছে। 6E493 কলকাতা থেকে দিল্লির ফ্লাইট, 6E7674 কলকাতা থেকে রাঁচির ফ্লাইট, 6E2057 দিল্লি থেকে কলকাতা র্যাম্প রিটার্ন করেছে বাজে আবহাওয়ার জন্য।
Rain In Kolkata : অবশেষে কলকাতায় নামল স্বস্তির বৃষ্টি
অন্যদিকে, ঝড়-বৃষ্টির কারণে একাধিক ট্রেন লাইনে গন্ডগোল হয়। সোমবার রাত সাড়ে ৮ টা নাগাদ শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। নরেন্দ্রপুর স্টেশনের কাছে ওভারহেডের তার ছিঁড়ে গিয়ে বিপত্তি ঘটে। শিয়ালদা দক্ষিণ শাখায় আপ-ডাউন ট্রেন পরিষেবা বেশ কিছুক্ষণের জন্য ব্যাহত হয়। যে কারণে প্রচন্ড সমস্যায় পড়েন রেল যাত্রীরা। অফিস ফেরত যাত্রীদের ফিরতে গিয়ে সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়।
আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, এদিন কলকাতার মধ্যে সাড়ে সাতটা থেকে আটটার মধ্যে বালিগঞ্জে - 67 mm, পামারবাজারে - 49 mm, ধাপা এলাকায় - 57mm, উল্টোডাঙা এলাকায় -46mm, ঠনঠনিয়া এলাকায় - 52mm, মানিকতলা এলাকায় - 28 mm, দত্তবাগান এলাকায় - 27 mm, চেতলা এলাকায় -26 mm, বেহালা এলাকায় -14.4mm, মোমিনপুর এলাকায় - 25mm বৃষ্টিপাত হয়।
গত কয়েদিন ধরেই প্রচণ্ড দাবদাহে অতিষ্ট হয়ে উঠেছিল গোটা বাংলা। বিক্ষিপ্তভাবে কয়েকটি জেলায় সামান্য বৃষ্টি হলেও স্বস্তি মিলছিল না দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস ছিল, আজ সন্ধ্যার দিকে বৃষ্টি হবে একাধিক জেলায়। সেইমতো, নদিয়া, পুরুলিয়া, মেদিনীপুর থেকে শুরু করে কলকাতা, দুই ২৪ পরগনা- সর্বত্র বৃষ্টি হয়েছে। বজ্রপাতও হয়েছে একাধিক জায়গায়। সন্ধ্যের পর বৃষ্টি শুরু হয়েছে, যখন বেশিরভাগ নিত্যযাত্রীরা কর্মস্থল থেকে বাড়ি ফেরেন। এরই মধ্য়ে লোকাল ট্রেনে এমন বিপত্তি সমস্যায় ফেলে দেয় যাত্রীদের।