• Solar Storm: ধেয়ে আসছে জোড়া সৌরঝড়! ভয়ংকর বিপদের আশঙ্কা
    এই সময় | ০৭ মে ২০২৪
  • পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে সৌরঝড়। আবহাওয়া দফতরের ‘স্পেস ওয়েদার প্রেডিকশন সেন্টার’ এমনই সতর্কবার্তা জারি করেছিল। জি১ স্তরের ভূচৌম্বকীয় ঝড়ের মুখোমুখি হতে পারে পৃথিবী বলে জানানো হয়েছিল। এমনকি এই ঝড়ের প্রভাবে অরোরা তৈরি হতে পার মেরু প্রদেশের আকাশে।বিদ্যুৎ পরিষেবায় সমস্যা দেখা দিতে পারে। নেভিগেশন ও যোগাযোগ ব্যবস্থায় বিঘ্ন ঘটার আশঙ্কাও রয়েছে। এসডব্লিউপিসি জানিয়েছে, এই ধরনের ভূচৌম্বকীয় ঝড়ের সৃষ্টি তখনই হয় যখন সূর্য প্রবল পরিমাণ শক্তি উগরে দেয় মহাকাশে।

    ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে মৃদু ঝড়। দ্রুত গতির ঝোড়ো হাওয়া বা সোলার উইন্ড আছড়ে পড়েছে পৃথিবীতে। এরই মধ্যে কোরোনাল মাস ইজেকশনও ধেয়ে আসছে। এটি কিন্তু সৌর ঝড়ের থেকে আলাদা।

    সূর্য বর্তমান সৌর চক্রে তার কার্যকলাপের শীর্ষে পৌঁছেছে। একটি ১১ বছরের সময়কাল যেখানে এর চৌম্বক ক্ষেত্র একটি চক্রের মধ্যে দিয়ে যায়। এর অর্থ হল সূর্যের উত্তর ও দক্ষিণ মেরু স্থান পরিবর্তন করে। তারপরে সূর্যের উত্তর এবং দক্ষিণ মেরুগুলি আবার নিজেদের জায়গায় ফিরে আসত আরও ১১ বছর সময় লাগে।

    এই সময়কালে সৃর্য অনেকগুলি শিখা প্রকাশ করে যা পৃথিবীর স্বাভাবিক জীবনকে প্রভাবিত করার ক্ষমতা রাখে। মাত্র কয়েকদিন আগে সানস্পট অঞ্চল AR3663 থেকে দুটি বিশাল সৌর শিখা বেরিয়েছে এবং এরফলে পৃথিবী ফায়ারিং লাইনে রয়েছে।

    ২ মে অগ্ন্যুৎপাত ঘটেছিল এবং এটি ছিল একটি এক্স ক্লাস ফ্লেয়ার। স্পেস ডট কম অনুসারে, সৌর শিখার সবচেয়ে শক্তিশালী বিভাগ, এটি অস্ট্রেলিয়া, জাপান এবং চিনের বেশিরভাগ অংশজুড়ে শর্টওয়েভ রেডিও ব্ল্যাকআউট সৃষ্টি করে।

    এই বিষয়ে সৌর পদার্থবিদ কিথ স্ট্রং লিখেছেন, ‘এক্স ফ্লেয়ার, সানস্পট অঞ্চল AR3663 সবেমাত্র একটি X 1.7 ফ্লেয়ার তৈরি করেছে, যা এই চক্রের এখনও পর্যন্ত ১১ তম বৃহত্তম ফ্লেয়ার। এটি একটি আবেগপ্রবন ফ্লেয়ার ছিল যা মোট প্রায় ২৫ মিনিট পর্য়ন্ত স্থায়ী হয়েছিল এবং 02:22 UT-এ শীর্ষে ছিল।’

    দ্বিতীয় অগ্ন্যুৎপাতটি ৩ মে রিপোর্ট করা হয়েছিল, যা একটি এম ক্লাস ফ্লেয়ার ছিল বলে জানিয়েছে আউটলেটটি।

    সিএমই হলো সূর্যের করোনা থেকেনিঃসৃত বিপুল পরিমাণ প্লাজমা ও চৌম্বকক্ষেত্র। সিএমই-র গতি কমবেশি হতে পারে। কখনও ১৫-১৮ ঘণ্টা লাগে পৃথিবীতে পৌঁছতে। কখনও কেয়কদিন। সিএমই-ও পৃথিবীর ম্যাগনেটোস্ফিয়ারের সঙ্গে প্রতিক্রিয়া ঘটিয়ে বিদ্যুৎ ব্যবস্থায় বিঘ্ন ঘটাতে পারে। কৃত্রিম উপগ্রহের সঙ্গে যোগাযোগ বিঘ্ন ঘটাতে পারে।
  • Link to this news (এই সময়)