সকাল সকাল ভোট দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। অহমেদাবাদ শহরে তিনি ভোট দিতে পৌঁছন। সঙ্গী ছিলেন অমিত শাহ। উল্লেখ্য, মঙ্গলবার, লোকসভার তৃতীয় পর্বের নির্বাচনে অন্যতম হেভিওয়েট প্রার্থী কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। কাকে ভোট দিলেন মোদী-শাহ?তৃতীয় দফা ভোটে দেশবাসীকে গণতন্ত্রের উৎসবে শামিল হওয়ার আহ্বান মোদির। শুভেচ্ছা জানান গান্ধীনগরের প্রার্থী অমিত শাহকে। উল্লেখ্য, অহমেদাবাদের রানিপ এলাকার নিশান হায়ার সেকেন্ডারি স্কুলের ভোটকেন্দ্রে নিজের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করেন মোদী। এটি গান্ধীনগর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত। অর্থাৎ বিশ্বস্ত সৈনিক অমিত শাহকেই ভোট দিলেন তিনি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও নিজেক নামের পাশেই EVM-এর বোতাম প্রেস করলেন।
এদিন ভোটদানের পর প্রধানমন্ত্রী সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। নরেন্দ্র মোদীকে সাধারণত এভাবে প্রেসের প্রশ্নের উত্তর দিতে খুব কমই দেখা যায়। তৃতীয় দফা ভোটের দিন কার্যত নজিরবিহীন চিত্রই দেখা গেল অহমেদাবাদে। মোদী বলেন, 'আজ লোকসভা নির্বাচনের তৃতীয় দফা। আমি দেশবাসীর কাছে বিশেষভাবে আবেদন জানাচ্ছি, সকলে গণতন্ত্রের এই উৎসবে সামিল হন। এটা সামান্য নয়, আমাদের দেশে ভোটদান অত্যধিক গুরুত্ব রয়েছে। আর চার দফা ভোট রয়েছে। আরও তিন সপ্তাহ ভোটপর্ব চলবে। এই অহমেদাবাদের বুথেই আমি বরাবর ভোট দিই। অমিত ভাই এই কেন্দ্রের প্রার্থী। কাল রাতে আগ্রা থেকে ফিরেছি। এরপর মহারাষ্ট্র, মধ্য প্রদেশ, তেলঙ্গানা যাব। সমস্ত রাজ্যের সমস্ত ভোটারদের নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় অংশ নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।'
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, 'গোটা দুনিয়ার কাছে ভারতের গণতন্ত্রের এই উৎসব শিক্ষণীয়। আরও ৬৪টি দেশে ভোট রয়েছে। ভারতের ভোট ম্যানেজমেন্ট ব্যবস্থা সেখানে উদাহরণ তৈরি করবে। নির্বাচন কমিশনের ব্যবস্থাপনা প্রশংসনীয়।'
ভোটদানের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তাঁদের স্বাস্থ্য সচেতনতার বার্তা দিলেন নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন, 'গরমের মধ্যে ভোটের কভারেজে আপনাদের দূরদূরান্তে দৌড়তে হয়। তাই সকলকে আর্জি জানাব নিজেদের শরীরের খেয়াল রাখুন। বেশি করে জল খান। জল খেলে শরীর সুস্থ থাকবে আর এনার্জিও বজায় রাখতে পারবেন।'
এদিন নিশান হায়ার সেকেন্ডারি স্কুলের বাইরে নরেন্দ্র মোদীকে দেখতে ভিড় উপচে পড়েছিল। রাস্তার দু'ধারে জড়ো হয়েছিলেন প্রচুর সংখ্যক মানুষ। তাঁরা হাত নেড়ে মোদীকে অভিবাদন জানান। 'মোদী মোদী' স্লোগান শোনা যায় সর্বত্র। প্রধানমন্ত্রীকেও দেখা যায় ভিড়ের দিকে এগিয়ে যেতে। কারও সঙ্গে সেলফি তোলেন, কাউকে দেন অটোগ্রাফ। যদিও এটি নির্বাচনী আচরণ বিধি ভঙ্গ বলে অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে বিরোধী শিবিরের পক্ষ থেকে।