উন্নয়ন অমিল, নির্বাচনের দিনেই ভোট বয়কট! গ্রামবাসীদের অনশন মালদায়
এই সময় | ০৭ মে ২০২৪
রাজ্যে তৃতীয় দফায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। চারটি লোকসভা কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ চলছে। এর মধ্যেই মালদায় একটি বুথে ভোটদান থেকে বিরত থাকলেন গ্রামবাসীরা। এলাকায় কোনও উন্নয়ন হয়নি এই দাবিতে ভোটদান থেকে বিরত থাকলেন তাঁরা।ঘটনাটি ঘটেছে মালদা জেলার হবিবপুর ব্লকের মঙ্গলপুরা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। মঙ্গলপুরা গ্রাম পঞ্চায়েতের ১২২ নম্বর বুথে ধরা পড়ল এমনই ছবি। এলাকায় কোন উন্নয়ন হয়নি তাই ভোট না দিয়ে গ্রামের মহিলারা অনশনে বসলেন। তাঁরা জানিয়েছেন, যতক্ষণ ভোট চলবে ততক্ষণ তাঁরা অনশন চালিয়ে যাবেন। বুথে ভোট কর্মীরা রয়েছেন। কেন্দ্রীয় বাহিনী, রাজ্য পুলিশ রয়েছে। কিন্তু এলাকার কেউ ভোট দেবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন ওই গ্রামের বাসিন্দারা।
এলাকায় উন্নয়নের দাবিতে বুথের সামনেই হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে অনশনে বসলেন গ্রামের মহিলারা স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মোট ১৩৮১জন ভোটার রয়েছে ওই বুথ এলাকায়। তাঁরা আজকে ভোট দিচ্ছেন না। এই অনশনের খবর ছড়িয়ে পড়তেই ঘটনাস্থলে আসেন হবিবপুরের সেক্টর অফিসার। তিনি তাঁদের বুঝিয়ে অনশন তুলে নেওয়ার অনুরোধ জানান। তবে, গ্রামবাসীরা নারাজ।
Lok Sabha Election 2024 : নজরে তৃতীয় দফা, বঙ্গে নির্বাচন চার কেন্দ্রে
এলাকার মানুষের দাবি রাস্তাঘাট, ব্রিজ থেকে শুরু করে এলাকার উন্নয়ন হয়নি দীর্ঘদিন ধরে। স্থানীয় এক বাসিন্দা ঝর্ণা বিশ্বাস জানান, আমরা এখানে সকাল পাঁচটা থেকে সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত অনশনে বসে থাকব। আমরা ভোট দেব না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। জগন্নাথপুর, রাধাকান্তপুর, রামকৃষ্ণপুর এই তিনটি গ্রামের বাসিন্দারা আজকে ভোটদান থেকে বিরত রয়েছেন। এই কারণে সকালেই আমরা বুথের সামনে চলে এসছি। সেখানে বসেই আমরা অনশন চালিয়ে যাব।
ভোটের আগে বিভিন্ন এলাকায় উন্নয়নের দাবি নিয়ে ভোটদান থেকে বিরত থাকার ব্যাপারে আন্দোলন হতে দেখা যায় গ্রামবাসীদের। তবে, এবার সরাসরি ভোটের দিন গ্রামবাসীরা ভোটদান থেকে বিরত থাকলেন। গ্রামের আরেক বাসিন্দার দাবি, এখানে রাস্তা সংস্কারের কাজ অনেকদিন আগে থেকেই ছাড়পত্র পেয়ে রয়েছে। স্থানীয় প্রশাসনকে বলা সত্বেও এখনও পর্যন্ত কোনও কাজ হয়নি। রাস্তাঘাট, স্থানীয় ব্রিজ সহ্য অন্যান্য উন্নয়নমূলক কাজ না হওয়ার কারণে মানুষের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। গত বিধানসভা, পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোট দেওয়ার পরেও কোনও কাজ না হওয়ায় এবার তাঁরা বিরুদ্ধাচারণ করছেন।
হবিবপুর বিধায়ক জোয়েল মুর্মু, গ্রামবাসীদের কিছু অভিযোগ থাকতে পারে। তবে এভাবে ভোট বয়কট করে তো কোনও সমাধান হবে না। আমরা অনুরোধ জানাবো, তাঁরা নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করুন। অন্যদিকে, তৃণমূল জরলা সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সী জানান, খগেন মুর্মু এলাকার সাংসদ ছিলেন, এলাকায় বিজেপির বিধায়ক রয়েছে, এরপরেও কেন উন্নয়ন হয়নি, সেটা তাঁরা জবাব দেবেন।