SSC চাকরিবাতিল মামলায় শুনানি শুরু সুপ্রিম কোর্টে। এদিন নিয়োগের ক্ষেত্রে রাজ্যের ভূমিকা স্পষ্ট করা হয়। রাজ্যের আইনজীবী রাকেশ দ্বিবেদী সর্বোচ্চ আদালতে জানান, নিয়োগ প্রক্রিয়ার সঙ্গে রাজ্য যুক্ত নয়। তা সম্পন্ন করে SSC। রাজ্য কত শূন্যপদ হবে তা ঠিক করে এবং নিয়োগের পর দেয় বেতন।সাময়িক বিরতি সুপ্রিম কোর্টে। ফের ২টোর পর থেকে শুরু হবে এই মামলার শুনানি।অনেক গরিব মানুষ সরকারি চাকরির আশায় থাকে, সরকারি চাকরি অত্যন্ত মূল্যবান: সুপ্রিম কোর্ট১২% সুদ সহ বেতন ফেরতের নির্দেশের বিরুদ্ধে সওয়াল SSC-র।যোগ্য এবং অযোগ্য প্রার্থীদের আলাদা করা প্রসঙ্গে উল্লেখযোগ্য মন্তব্য করল SSC। সুপ্রিম কোর্টে জানাল, যদি CBI-এর তথ্যের উপর ভরসা করা যায় সেক্ষেত্রে কারা যোগ্য এবং কারা অযোগ্য তা আলাদা করা সম্ভব হবে। SSC-র সার্ভারের থেকে OMR ডেটা এক্ষেত্রে না মিললে তা আলাদা করা যাবে।SSC নিয়োগ দুর্নীতি মামলা: 'সিস্টেমেটিক পদ্ধতিতে দুর্নীতি হয়েছে', পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি।১৯ হাজার চাকরি প্রাপক যোগ্য, প্রায় সাত হাজার অবৈধ নিয়োগ, সুপ্রিম কোর্টে জানাল SSC।
কলকাতা হাইকোর্ট সুপারনিউমেরিক পোস্ট তৈরি করে নিয়োগের বিষয়ে গুরুত্ব আরোপ করেছিল বিশেষভাবে। কাদের অঙ্গুলি হেলনে তা হল, সেই বিষয়ে তদন্তের কথাও বলা হয়।
এদিন রাজ্য সুপ্রিম কোর্টে জানায়, সুপার নিউমেরিক পদ তৈরি করার নেপথ্যে রাজ্যের কোনও খারাপ অভিসন্ধি ছিল না। মন্ত্রিসভার বিরুদ্ধে তদন্ত প্রসঙ্গে এদিন প্রধান বিচারপতি বলেন, 'আদালতের নির্দেশে CBI তদন্ত করছে। এর আওতাতে রয়েছে সুপারনিউমেরিক পোস্টও।' রাজ্যের অপর আইনজীবী বলেন, 'মন্ত্রিসভা কেবল ওয়েটিং লিস্ট থেকে সুপারনিউমেরিক পোস্ট তৈরি করার জন্য নোট নেয়। কোনও নিয়োগ এক্ষেত্রে আলাদা করে করা হয়নি। সেক্ষেত্রে মন্ত্রিসভা এই বিষয়ে কী অপরাধ করল?'
এদিন সুপার নিউমেরিক পোস্ট প্রসঙ্গে মন্ত্রিসভার পক্ষে সুপ্রিম কোর্টে সওয়াল করে রাজ্য। সেখানে রাজ্যের আইনজীবী বলেন, 'মন্ত্রিসভার বিরুদ্ধে অনিয়মের কোনও প্রমাণ পাওয়ায় যায়নি। কেবলমাত্র সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য তাঁরা বৈঠক করেছিল। কিন্তু, কোনও কিছুই প্রয়োগ হয়নি। এরপরেও যদি সমগ্র মন্ত্রিসভার বিরুদ্ধে CBI তদন্তের নির্দেশ দিলে সংসদীয় গণতন্ত্রের কী হবে?' প্রশ্ন করেন রাজ্যের আইনজীবী। এদিন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, 'এক্ষেত্রে পদ্ধতিগত জালিয়াতি করা হয়েছে।'