স্বস্তির বৃষ্টিতে সোমবার শীতল হয়েছে একাধিক জেলা। কিন্তু এর মধ্যে ঝড়, বজ্রপাতের জন্য রাজ্যে নয়জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও নদিয়ায় প্রাচীর ধসে আরও ২ জন এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায় গাছ ধসে আরও ১ জন মারা গিয়েছেন। ঘটনায় শোকপ্রকাশ করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।গতকালের ঝড়-বৃষ্টি এবং বজ্রপাতের কারণে মৃত্যু হয়েছে মোট নয়জনের। এর মধ্যে পূর্ব বর্ধমান জেলায় ৫ জন, পশ্চিম মেদিনীপুর ২ জন এবং পুরুলিয়ায় ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতের পরিবারের প্রশাসনের তরফে যাতে সাহায্য করা যায় সে ব্যাপারে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও, নির্বাচনী বিধি চালু থাকায় সরাসরি তিনি কোনও ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেননি।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের এক্স হ্যান্ডেলে বলেন, ‘অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, গত রাতে বজ্রপাতের কারণে ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। নদিয়ায় প্রাচীর ধসে আরও ২ জন এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায় গাছ ধসে আরও ১ জন মারা গিয়েছেন। আমাদের জেলা প্রশাসন সর্বত্র দুর্যোগ মোকাবিলায় চব্বিশ ঘন্টা কাজ করে চলেছে এবং নির্দেশিকা অনুসারে ত্রাণ ও সাহায্য প্রদানের জন্য পদক্ষেপ নিচ্ছে। বাংলার ১২ জন নাগরিকের শোকাহত পরিবারের প্রতি আমার আন্তরিক সমবেদনা রইল।
উল্লেখ্য, পূর্ব বর্ধমান জেলায় সোমবার রাতে বজ্রাঘাতে মৃত্যু হয় এক গৃহবধূর। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়ার কামাল বাগদী পাড়া এলাকায়। জানা যায়, মৃত ওই গৃহবধুর নাম উন্নতি মাঝি। তার বয়স 49 বছর । কালবৈশাখী ঝড়ের সময় উন্নতি মাঝি তার পোষা একটি ভ্যাঁড়াযকে ধরতে বাড়ির সামনে এগিয়ে যায় সেই সময় হঠাৎই একটি বাজ পরলে জ্ঞান হারান উন্নতি মাঝি। এরপর তার পরিবারের লোকেরা তড়িঘড়ি তাকে উদ্ধার করে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসে। কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে থাকা কর্তব্যরত ডাক্তার উন্নতি মাঝিকে মৃত বলে ঘোষণা করে।
অন্যদিকে, সোমবার সন্ধ্যায় পূর্ববর্ধমানের কেতুগ্রামের পালিটা গ্রামের আদিবাসী পাড়ায়, ১১ বছরের এক কিশোরী বজ্রাঘাতে জখম হয়। খুব আশঙ্কাজনক অবস্থায় কিশোরীটিকে বোলপুর মহুকুমা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। আহত কিশোরীর নাম সুস্মিতা সরেন। পূর্ব বর্ধমান ছাড়াও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় ২ জন এবং পুরুলিয়া জেলায় ২ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে বজ্রাঘাতে। আবহাওয়া দফতরের খবর অনুযায়ী, মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকেও একাধিক জেলায় ঝোড়ো হাওয়া, সঙ্গে বজ্র বিদ্যুৎ সহ বৃষ্টিপাত হতে পারে।