Gaza Israel War: এবার কি রাফা? খালি করতে বলেই স্ট্রাইক
এই সময় | ০৭ মে ২০২৪
এই সময়: গাজ়া সিটিকে ধুলোয় মিশিয়ে এবার কি ধ্বংসযজ্ঞ রাফায়? কার্যত তেমনই ইঙ্গিত দিয়ে সপ্তাহ শুরু করল ইজ়রায়েল। সংঘর্ষবিরতির জন্য হামাস যে সব শর্ত দিয়েছিল, তা মানতে রবিবারই অস্বীকার করেছিলেন ইজ়রায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানইয়াহু। সংঘর্ষবিরতির আলোচনা তাই বিশ বাঁও জলে। এই আবহেই সোমবার গাজ়ার দক্ষিণাংশে রাফার একাধিক এলাকা থেকে বাসিন্দাদের বাক্স-প্যাঁটরা গুটিয়ে বাড়ি খালি করার নির্দেশ দিল নেতানিয়াহুর বাহিনী। একই সঙ্গে আইডিএফের স্পষ্ট ঘোষণা, ‘জঙ্গিদের বিরুদ্ধে এবার সর্বশক্তি দিয়ে আক্রমণ শানাবে ইজ়রায়েল।’নিছক মৌখিক হুমকি নয়, হামাসের আল আকসা টিভির দাবি এলাকা খালি করার নির্দেশ দিয়েই রাফায় এয়ারস্ট্রাইক শুরু করে দিয়েছে আইডিএফ। সকাল থেকেই চলছে বৃষ্টি। তারই মধ্যে এলাকাবাসীদের কাছে পর-পর আসতে থাকে ফোন কল, মেসেজ। প্লেন থেকে ফ্লায়ার ছড়িয়ে জানানো হতে থাকে— ‘যত দ্রুত সম্ভব এলাকা ছেড়ে পালান।’
প্রাণের দায়ে তড়িঘড়ি তল্পিতল্পা গুটিয়ে রাফার বাসিন্দারা তখন সবে ট্রাকে মালপত্র তোলা শুরু করেছেন, তারই মধ্যে ইজ়রায়েল এয়ারস্ট্রাইক শুরু করে দেয় বলে খবর। সূত্রের খবর, এ দিনই ইউএস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ফোন করে প্রায় আধঘণ্টা কথা বলেন নেতানিয়াহুর সঙ্গে। তবে রাফায় আগ্রাসন নিয়ে তাঁদের মধ্যে কোনও আলোচনা হয়েছে কি না, তা জানা যায়নি।
কিন্তু কেন টার্গেট রাফা? বিশেষত বিশ্বের একটা বড় অংশ যেখানে লাগাতার রাফায় হামলা শুরু না-করার আর্জি জানিয়ে আসছিল! ইজ়রায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গালান্ট জানান, ‘গাজ়ায় সংঘর্ষবিরতির প্রস্তাব হামাসই প্রত্যাখ্যান করেছে। ফলে পণবন্দিদের মুক্ত করার ক্ষেত্রে রাফা-য় সামরিক অভিযান ছাড়া আমাদের কাছে আর কোনও বিকল্প ছিল না।’
মিডিয়ার দাবি, এই মুহূর্তে গাজ়ার বাসিন্দাদের প্রায় এক-চতুর্থাংশ অর্থাৎ প্রায় ১৪ লক্ষ প্যালেস্তিনীয় রাফায় রয়েছেন রাষ্ট্রপুঞ্জের একাধিক শিবিরে। তাড়া খেয়ে স্রেফ প্রাণের দায়ে। বেশির ভাগ আশ্রয় শিবিরেই তিলধারণের জায়গা নেই। খাবার-জলের সংস্থানও নামমাত্র। ভরসা শুধু ত্রাণ! কিন্তু এখান থেকেও তাড়া খেয়ে তাঁরা আবার কোথায় পালাবেন? তখনও স্ট্রাইক শুরু হয়নি। হামাসের এক শীর্ষ-কর্তার মতে, এই পরিস্থিতিতে রাফায় সামরিক অভিযান হলে ভয়ঙ্কর পরিণতি হবে। কিন্তু ইজ়রায়েল যেন তাতে কর্ণপাত করারই প্রয়োজন মনে করছে না।
এর মধ্যে আবার অন্য রকম আশঙ্কাও করছেন বিশেষজ্ঞরা। ইজ়রায়েলে আল-জাজি়রার দপ্তর বন্ধ করার ক্ষেত্রে ইতিমধ্যেই পার্লামেন্টের সম্মতি আদায় করে নিয়েছে তেল আভিভ। এত দিন যে হেতু আল জাজ়িরাই গাজ়ার হাঁড়ির খবর সবচেয়ে ভালো দিয়েছে, তাই আল জাজ়িরাকে ছেঁটে ফেলার পরে রাফায় ইজ়রায়েল আরও ভয়ঙ্কর ধ্বংসলীলা চালাবে বলে মনে করা হচ্ছে।