Child Marriage: বালিকাকে জোর করে বিয়ের অভিযোগ, শ্রীঘরে ৭০ বছরের পাত্র
এই সময় | ০৭ মে ২০২৪
পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের সোয়াতের পুলিশ ৭০ বছর বয়সী এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে। অভিযোগ, ওই বৃদ্ধ ১৩ বছর বয়সী একটি নাবালিকাকে বিয়ে করেছে। আর সেই অভিযোগেই গ্রেফতার করা হয়েছে ওই বৃদ্ধকে।পাকিস্তানের একটি সংবাদ সংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী, নাবালিকাকে বিয়ে একটি বেআইনি কাজ। একইসঙ্গে ঘটানটি খুব উদ্বেগজনক বলেও প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
খবরে বলা হয়েছে, ওই নাবালিকাকে তার বাবা জোর করে এক বৃদ্ধের সঙ্গে বিয়ে দিয়েছেন। এই খবর পেয়ে সোয়াত পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে হস্তক্ষেপ করে এবং ৭০ বছর বয়সী পাত্র এবং ওই নাবালিকার বাবা দুজনকেই গ্রেফতার করে পুলিশ।
আটক করা হয়েছে প্রত্যক্ষদর্শী এবং অপারেটরকেও-বৃদ্ধ পাত্র এবং নাবালিকার বাবার পাশাপাশি বিয়ের অনুষ্ঠানের আয়োজক এবং সাক্ষীদেরও হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। এদিকে ওই সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন অনুয়ায়ী, নাবালিকা বধূর স্থানীয় একটি হাসপাতালে ডাক্তারি পরীক্ষা করা হয়েছে। এই উদ্বেগজনক ঘটনাটি পাকিস্তানে বাল্য বিবাহের ক্রমাগত চ্যালেঞ্জকে নির্দেশ করে, যা শুধু মাত্র পাকিস্তানের সংবিধানে প্রদত্ত মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন করে না, তবে অল্পবয়সী মেয়েদের সুস্থতার জন্যও মারাত্মক হুমকির সৃষ্টি করে।
বাল্য বিবাহ নিয়ে কী বলে পাকিস্তানের আইন?পাকিস্তানের বর্তমান আইনের অধীনে , ১০২৯ সালের পুরনো বিবাহ নিরোধ আইন মেয়েদের জন্য ১৬ বছর এবং ছেলেদের জন্য ১৮ বছর বিবাহের সর্বনিম্ন বয়স নির্ধারণ করে। যাই হোক, বিয়ের ন্যূনতম বয়স ১৮ তে উন্নীত করার প্রচেষ্টা ইসলামিক রক্ষণশীল গোষ্ঠীর প্রতিরোধের সম্মুখীন হয়েছে। বিশেষ করে খাইবার পাখতুনখোয়ায় দুর্বল নাবালকদের অধিকার রক্ষার দিকে অগ্রগতি বাধাগ্রস্থ করেছে।
বাল্যবিবাহ নিয়ে ইউনিসেফের তথ্য অনুযায়ী, সবচেয়ে বেশি কম বয়সে বিয়ের সংখ্যা ভারতের পশ্চিমবঙ্গে। করোনার আকস্মিক হানায় ভয়ের বাতাবরণে এই বিয়ের সংখ্যা কিছুটা কমলেও বর্তমানে তা ফের বেড়েছে।
পরিসংখ্যান বলছে, যে কোনও দেশেই প্রসবকালীন অবস্থায় যে সব মায়েরা মারা যাচ্ছেন খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, তাদের বেশিরভাগেরই বিয়ে হয়েছে কম বয়সে। আর কম বয়সে বিয়ে দিলেই মেয়েরা মা হতে গিয়ে বিপদে পড়েন।
পাকিস্তানের মতো বেশকিছু দেশে দেখা গেছে স্কুলে যাওয়া মেয়েকেও জোর করে বসিয়ে দেওয়া হচ্ছে বিয়ের আসরে। ঠিক যেমনটা করা হয়েছে খাইবার পাখতুনখোয়ার ঘটনায়।
এইসব ঘটনা রীতিমতো ভাবাচ্ছে স্বাস্থ্য বিভাগকেও। কারণ সচেতনতা না এলে এই ধরণের ঘটনা বন্ধ করা যাবে না।