Cash Recovery In Jharkhand : পাহাড় প্রমাণ টাকা উদ্ধারে তোলপাড়! ভোটের মাঝেই ED-র হাতে গ্রেফতার মন্ত্রীর আপ্তসহায়ক ও পরিচারক
এই সময় | ০৭ মে ২০২৪
কোটি কোটি টাকা উদ্ধারের ঘটনায় ঝাড়খণ্ডে গ্রেফতার গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী আলমগীর আলমের আপ্তসহায়ক সঞ্জীব লাল এবং তাঁর পরিচারক জাহাঙ্গির আলম। সোমবার ED এই পরিচারকের বাড়ি থেকে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে উদ্ধার করেছে নোটের পাহাড়।রাত পর্যন্ত নোট গোনার মেশিন নিয়ে টাকা গোনা হয়। রাঁচির ছয় জায়গায় হানা দিয়ে ED উদ্ধার করেছে মোট ৩৫ কোটি ২৩ হাজার টাকা নগদ। আর্থিক তছরুপ প্রতিরোধ আইন বা PMLA-তে সঞ্জীব এবং জাহাঙ্গিরকে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে ED। ওই বিপুল পরিমাণ টাকার উৎস জানতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে ওই দু’জনকে।
বাজেয়াপ্ত হওয়া টাকা বেআইনি?ED সূত্রে খবর, বাজেয়াপ্ত হওয়া টাকা বেআইনি লেনদেনের। গ্রামোন্নয়ন দফতরে ১০ হাজার টাকা ঘুষের বিনিময়ে চাকরি দুর্নীতি মামলায় তদন্ত শুরু করেছিল ED। তদন্তে উঠে আসে মন্ত্রীর যোগসূত্র। ঘুষের বিনিময়ে চাকরি দেওয়া হচ্ছিল মন্ত্রী আলমগীর আলমের দফতরে। ED সূত্রে এমনটাই খবর পাওয়া গিয়েছে। এরপরই গোপন সূত্রে খবর পয়েছে ED আধিকারিকরা মন্ত্রীর আপ্তসহায়কের পরিচারকের বাড়িতে হানা দেয়। সেখানে তল্লাশি চালিয়ে চক্ষু চড়কগাছ হয় ED আধিকারিকদের। জানা গিয়েছে, মন্ত্রী আলমগীর আলম ঘনিষ্ঠ অনেকের বাড়িতেই তল্লাশি চালানো হয়। সেখান থেকেও কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
১৫ হাজারি চাকরিতে হাজার হাজার ঘুষসোমবার সকাল থেকে ঝাড়খণ্ডের রাজধানী রাঁচির নানা জায়গায় অভিযান চালান ED আধিকারিকেরা। গ্রামোন্নয়ন দফতরের মুখ্য ইঞ্জিনিয়ার বীরেন্দ্র রামের বিরুদ্ধে যে আর্থিক তছরুপের মামলা রয়েছে, সেখানে সঞ্জীব লালের নাম উঠে আসে। সেই যোগসূত্র ধরেই সোমবার সকালে অভিযান শুরু করে ED। ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে বীরেন্দ্রকে গ্রেফতার করেছিল ED। তাঁর বাড়ি থেকে নগদ টাকা-সহ একটি পেন ড্রাইভও উদ্ধার করা হয়েছে। ED সূত্রে জানা গিয়েছে, ঝাড়খণ্ডের অন্য মন্ত্রীদের সঙ্গেও নাকি টাকার লেনদেন চলত সঞ্জীবের।
৭০ বছরের আলমগীর আলম কংগ্রেস নেতা এবং পাকুর বিধানসভা আসনের বিধায়ক। ফলে লোকসভা ভোটের আগে তাঁর ঘনিষ্ঠের বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া পাহাড় পরিমাণ টাকা নিয়ে ইতিমধ্যেই নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। BJP তোপ দেগেছে কংগ্রেস ও ঝাড়খণ্ডের শাসকদল JMM-এর বিরুদ্ধে। ভোটের আগে গ্রেফতার হয়েছিলেন ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। তাঁর বিরুদ্ধেও আর্থিক তছরুপের অভিযোগ রয়েছে। এদিকে, গ্রেফতারির মুহূর্তে তিনি মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেন। এর মাঝেই আরও এক দুর্নীতি মামলায় কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা উদ্ধার নতুন করে তোলপাড় ফেলে দিয়েছে।