• গৃহশিক্ষক ছাড়াই সব বিষয়ে লেটার, ফাস্ট গার্ল পুষ্পিতার মার্কশিট দেখুন
    এই সময় | ০৭ মে ২০২৪
  • /মাধ্য়মিক পরীক্ষার এবারের মেধা তালিকায় ৫৭ জন সুযোগ স্থান পেয়েছে। মেধা তালিকায় তৃতীয় স্থানে যে ৩ জন রয়েছে, তাদের মধ্যে একজন পুষ্পিতা বাঁশুরি। সার্বিকভাবে তৃতীয় হলেও এারে মাধ্যমিকে মেয়েদের মধ্যে প্রথম হয়েছে সে। মাধ্যমিকে তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৯১। বীরভূমের ইলামবাজারের নিউ ইন্টিগ্রেড গভঃ স্কুল থেকে মাধ্যমিক পাশ করেছে সে। মাধ্য়মিকের ফলাফলের মধ্যে দিয়ে প্রত্যেকের প্রশংসা কুড়িয়ে নিয়েছে পুস্পিতা। পরিবার পরিজনের পাশাপাশি স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকা বা সহপাঠীরাও পুষ্পিতার প্রশংসায় পঞ্চমুখ। পুষ্পিতা বাঁশুরির এমন ফলাফলের পর অনেকেই জানতে চাইছেন বিভিন্ন বিষয়ে তার নম্বর কত?বিষয়নম্বরবাংলা৯৭ইংরেজি৯৯ইতিহাস৯৮ভূগোল১০০ভৌত বিজ্ঞানে৯৯জীবন বিজ্ঞানে১০০অংক৯৮মোট৬৯১

    কী ভাবে এল এই সাফল্য?কোনওরকম গৃহশিক্ষক ছাড়াই পড়াশোনা চালিয়ে গিয়েছে পুষ্পিতা। স্কুলের পঠনপাঠন ছাড়াও দিনে কমবেশি ১০ ঘণ্টা পড়াশোনা করেছে সে। আর নিজের এই লড়াইতে সর্বক্ষণ সে পাশে পেয়েছে নিজের বাবা ও মাকে। এছাড়াও স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকা ও তার মায়ের স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিরাও তাকে যথেষ্টই সহযোগিতা করেন বলে জানিয়েছে পুষ্পিতা। পাঠ্যবই খুঁটিয়ে পড়ার পাশাপাশি উত্তর লিখে শিক্ষক শিক্ষিকাদের কাছে তা চেক করিয়ে নিয়েছে নিয়মিত। আগামীদিন ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার ইচ্ছা রয়েছে তার। আর সেই জন্য ইতিমধ্যেই প্রস্তুতিও শুরু করে দিয়েছে সে।

    'ছোট থেকেই পরিশ্রমী পুষ্পিতা'

    পুষ্পিতার সাফল্যে আপ্লুত তার বাবা-মাও। তবে এই সাফল্যে যাবতীয় কৃতিত্ব অবশ্য পুষ্পিতাকেই দিয়েছেন তিনি। পুষ্পিতার রেজাল্ট দেখে তার মা জানান, মেয়ে কোনও একটি স্থান পেতে পারে এমন আশা ছিল, তবে সেটা যে তৃতীয় হবে তা কল্পনা করতে পারেননি। তিনি আরও জানান, ছোট থেকেই খুবই পরিশ্রমী পুষ্পিতা। সর্বক্ষণ পড়াশোনা নিয়েই ব্যস্ত থেকেছে সে। এবার তার ইচ্ছা ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়ার। আর মা - বাবা হিসেবে তাঁরাও চাইছেন মেয়ের স্বপ্ন পূরণ করতে।

    এই বছর বেড়েছে পাশের হারউল্লেখ্য, এবারের মধ্যমিক পরীক্ষায় পাশের হার বেড়েছে। এবারে পাশের হার ৮৬.৩১ শতাংশ। গতবছর অবশ্য পাশের হার ছিল ৮৬.১৫ শতাংশ। একইসঙ্গে জেলাভিত্তিক পাশের হারেও এবার উল্লেখযোগ্য পরবর্তন দেখা গিয়েছে। এবারের মাধ্যমিক পরীক্ষায় জেলাভিত্তিক পাশের হারে প্রথম স্থান পেয়েছে কালিম্পং। দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্থান দখল করে পূর্ব মেদিনীপুর এবং কলকাতা।
  • Link to this news (এই সময়)