এই সময়, তমলুক ও কলকাতা: এসএসসি-র ২০১৬-এর নিয়োগের গোটা প্যানেল একলপ্তে খারিজ করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। সেই নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করে ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে রাজ্য সরকার। গত ২৯ এপ্রিল সেই মামলার প্রথম শুনানিতে সুপার নিউমেরারি পোস্ট তৈরির বিষয়ে সিবিআইকে তদন্ত এবং প্রয়োজনে সন্দেহভাজনদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিয়েছিল শীর্ষ আদালত।তবে প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীর নিয়োগ বাতিল এবং প্যানেল বহির্ভূতভাবে ভুয়ো ওএমআর শিটের ভিত্তিতে চাকরিপ্রাপ্তদের টাকা ফেরানো সংক্রান্ত হাইকোর্টের রায়ে কোনও স্থগিতাদেশ দেয়নি সুপ্রিম কোর্ট। সোমবার এই মামলার ফের শুনানি ধার্য থাকলেও শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ জানিয়েছে, তারা আজ, মঙ্গলবার ঠান্ডা মাথায় এই মামলার শুনানি করবেন।
এর আগে এসএসসির তরফে জানানো হয়েছিল, চাকরিহারাদের মধ্যে ‘যোগ্য’ ও ‘অযোগ্য’দের আলাদা করার জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য তারা সুপ্রিম কোর্টে জমা দিতে পারবে। আজ সুপ্রিম কোর্টে তারা এনিয়ে কী তথ্য দেয়, সে দিকে নজর রয়েছে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের। তার আগে সোমবার পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকে চাকরিহারা শিক্ষকদের অনশন মঞ্চে ভাষণ দিতে গিয়ে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু আশ্বাস দেন, ‘আজ নয়তো কাল সুপ্রিম কোর্টে চাকরিহারা শিক্ষকরা সুবিচার পাবেনই। তখন সম্মানের সঙ্গে যোগ্য শিক্ষকরা আবার কাজে যোগ দেবেন।’ শিক্ষকদের গায়ে যে কালির দাগ লেগেছে, তাও মুছিয়ে দেওয়া হবে বলে তিনি আশ্বাস দিয়েছেন।
তমলুকের বিজেপি প্রার্থী, হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কেও এদিন নিশানা করেন ব্রাত্য। তাঁর কথায়, ‘তৃণমূল তথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর তথাকথিত এলিট শ্রেণির তীব্র রাগ কখনও গণমাধ্যমের এক অংশের মধ্যে, কখনও বা বিচার ব্যবস্থার একাংশের মধ্যে থেকে বেরিয়ে এসেছে।’ তিনি জানান, কোর্টে এসএসসি ও সিবিআই যে তালিকা জমা দিয়েছে, তা মোটের উপর এক। তাঁর আশা, ‘আদালতে সুবিচার পাবেন শিক্ষকরা। এই রাজ্য সরকারের হাতেই পুনর্বহাল হবেন তাঁরা।’